ফাইল চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর সঙ্গে পূর্ণিমার ভরা কটালে বানভাসি অবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই অমাবস্যার ভরা কটালের ভ্রূকুটি!
এবার আর আগের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি চায় না জেলা প্রশাসন। তাই আগামী ১০ জুনের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের রূপনারায়ণ, হলদি, হুগলি নদীর বাঁধ মেরামত করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সেচ দফতর।
গত ২৬ মে ইয়াস ও পূর্ণিমার ভরা কটালের জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্র উপকূলবর্তী এবং রূপনারায়ণ, হুগলি ও হলদি নদীর বাঁধের তীরবর্তী বহু এলাকা ডুবেছিল। রূপনারায়ণ তীরবর্তী মায়াচর, অমৃতবেড়িয়া, নন্দকুমারের মীরপুর, তমলুক শহর, আচাইপুর এলাকায় নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। একই দশা হয় হুগলি নদী তীরবর্তী খেজুরি, নন্দীগ্রাম, সুতাহাটা এবং হলদি তীরবর্তী নন্দকুমার, চণ্ডীপুর ব্লকে বেশ কিছু এলাকার
নদী বাঁধের।
বাঁধগুলির এখন মেরামতি চলছে। তবে আগামী ১০ জুন অমাবস্যার ভরা কটালের জোয়ার রয়েছে। ফলে থাকায় বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা ফের চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি মাথায় রেখে সেচ দফতর যে সব এলাকায় নদী বাঁধের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেখানে অমাবস্যার কোটালের জোয়ার আসার আগেই বাঁধের মেরামতি কাজ করার সময়সীমা বেঁধেছেন।
জেলা সেচ দফতর সূত্রের খবর, যে সব এলাকায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে মায়াচর এলাকা। ‘ইয়াস’-এর পরে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র সেখানের নদী বাঁধ পরিদর্শন করেছিলেন। ওই এলাকায় বাঁধের মেরামতি জরুরিকালীন ভিত্তিতে তিনি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মহিষাদলের বাড় অমৃতবেড়িয়া এলাকায় রূপনারায়ণ বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত মেরামতির কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। সুতাহাটা ব্লকের এরিয়াখালিতে হুগলি নদীর বাঁধের মেরামতির কাজ চলছিল ‘ইয়াস’-এর আগে থেকেই। সেখানেও জোর কদমে মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে। কোলাঘাট ব্লকের খড়িচক এলাকায় রূপনারায়ণ বাঁধের মেরামতির কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, বাঁধের অবস্থা নিয়ে সেচ দফতরের ভমিকা নিয়ে জেলা সফরে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ইয়াস-এর জেরে এবং ভরা কটালের জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধের মেরামতির কাজ চলছে। আসন্ন অমাবস্যার ভরা কটালের জোয়ারের আগে বাঁধ মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সে জন্য ঠিকাদারদের ১০ জুনের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।’’