— ফাইল চিত্র।
নিম্নচাপের কারণে দিঘা-সহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় আগামী দু’দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়বে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও। এই পরিস্থিতিতে দিঘা-সহ সংলগ্ন এলাকায় পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে দিঘা থানা এলাকার পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে প্রশাসনের তরফে মাইকে প্রচার করা হয়েছে। গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদেরও।
বুধবার রাত থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও দিঘা-সহ সংলগ্ন উপকূল এলাকায় আকাশ মেঘলা ছিল। মাঝে মধ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। তবে কোথাও ভারী বৃষ্টির খবর নেই। দিঘা মোহনা থানা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পর্যটকেরা সমুদ্রস্নান করলেও, দুপুরের পর মাইকিং করে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি থাকছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে দিঘার সমুদ্র কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও আবহাওয়ার বদল ঘটলে তা উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে দিঘার ঘাটগুলিতে কড়া নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকর্মীদের। শুক্রবার সকাল থেকে নুলিয়া ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
অন্য দিকে, দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সমস্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁদের নতুন করে সমূদ্রে মাছ শিকারে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে। আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি বুঝে প্রশাসনের পরবর্তী নির্দেশের পরেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম জানিয়েছে, জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে মাছ শিকারে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ হলে সমূদ্র উপকূল থেকে তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।