ফাইল চিত্র।
মেদিনীপুরে জনসভার ডাক দিয়েছে যুব কংগ্রেস। জনসভার প্রধান বক্তা অধীর চৌধুরী। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ১৭ জানুয়ারি মেদিনীপুর শহরের গাঁধীমূর্তির পাদদেশের সামনে এই সভা হবে। মূলত, নতুন নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) প্রতিবাদেই এই জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল মানছেন, ‘‘আগামী ১৭ জানুয়ারি মেদিনীপুরের জনসভায় অধীর চৌধুরী থাকবেন। অন্য প্রদেশ নেতৃত্বেরও থাকার কথা।’’ মাস কয়েক পরেই মেদিনীপুর-সহ জেলার সাতটি পুরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে অধীর চৌধুরীকে এনে জনসভা করানোর সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। তাঁদের মতে, এক সময়ে জেলার কিছু এলাকায় কংগ্রেসের সংগঠন শক্তিশালী ছিল। পরে পরে অবশ্য জেলা রাজনীতিতে ক্রমে জমি হারিয়েছে কংগ্রেস। তাই পুরভোটে আগে এখন থেকেই দলীয় কর্মীদের মাঠে নামাতে চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কংগ্রেসের মিছিল শুরু হয়েছে।
অধীর বর্তমানে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। দলীয় সূত্রে খবর, দলের যুবকর্মীরা চেয়েছিলেন মেদিনীপুরের সভায় অধীর আসুন। সেই মতো প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাব পাঠান যুব কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, ওই দিন অধীর মেদিনীপুরের জনসভায় আসার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশাপাশি একই দিনে পড়শি এক জেলাতেও না কি যেতে পারেন অধীর।
সপ্তাহ কয়েক আগেই মেদিনীপুরে দলের এক বৈঠকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খান বলেছেন, ‘‘মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কথা না বললে মানুষ কংগ্রেসের থেকে সরে যাবে। কংগ্রেস কথা বললে মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়াবে।’’ যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুলের দাবি, ‘‘আর্থিক সঙ্কট- সহ দেশের নানা সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপি সরকার বিভাজনের রাজনীতি করছে। আমাদের প্রতিবাদ এখানেই। আমরা বলছি, ‘জাতের কথা বাদ দে, খিদে পেয়েছে ভাত দে’। ১৭ জানুয়ারির জনসভার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’’
জেলা কংগ্রেসের এক সূত্রে খবর, তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি- ব্যর্থতা নিয়েও পথে নামার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের। ওই সূত্রে খবর, মেদিনীপুরের জনসভা থেকে শিল্প এনে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, চাষিদের ফসলের ন্যায্য দাম দেওয়ার মতো দাবিও জানানো হবে।