ঘাটাল সুপার স্পেশািলটিতে।
হাসপাতালে দ্রুত বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যা। জানা যাচ্ছে, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জ্বর শ্বাসকষ্ট তথা ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ (এআরআই) উপসর্গ নিয়ে শিশু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিগত তিনদিনে ওই উপসর্গ নিয়ে ২২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শনিবার ঘাটাল হাসপাতালে এআরআই উপসর্গ রয়েছে, এমন ভর্তি শিশুর সংখ্যা ২৩ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে দিন দু’য়েক আগেই ঘাটাল সুপার স্পেশালিটিতেও ‘এরআরআই ক্লিনিক’ চালু হয়েছে। পাশাপাশি শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় শিশু ওয়ার্ডে আরও ১০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে দিন দিন বাড়ছে উদ্বেগ। কলকাতায় পরপর কয়েকটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সেই উদ্বেগ একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও তৎপর হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরও। মাস খানেক ধরেই ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জ্বর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে শিশুদের ভিড় বাড়ছিল। তার মধ্যে আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক অবস্থা দেখে পদক্ষেপ করছেন ঘাটাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ভর্তির পরিস্থিতি না হলে ওষুধ দিয়ে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশু ওয়ার্ডে শয্যা বাড়িয়েছে বলে খবর। এতদিন ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ৫০টি শয্যা ছিল। দিন দু’য়েক আগে সেখানে আরও ১০টি শয্যা বাড়িয়ে ৬০টি শয্যা করা হয়েছে। নতুন শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহ-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করেছে। বাড়ানো হয়েছে নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘাটাল হাসপাতালে পৃথক ভাবে ‘এআরআই ক্লিনিক’ খোলা হয়েছে। সেখানে জ্বর শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকলে ওই ক্লিনিকে পাঠানো হচ্ছে। ক্লিনিকে শিশু চিকিৎসক ছাড়াও সব সময়ের জন্য পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু ওই ক্লিনিকে নয়, শিশু বহিবির্ভাগেও লাফিয়ে বাড়ছে রোগীর শিশু রোগীর সংখ্যা। শিশু ওয়ার্ডে পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।
আক্রান্ত শিশুদের পরিবারের দাবি— জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে এত শিশু ভর্তি। নিয়ম করেই দু’-একজন করে ভর্তি শিশুদের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। কিন্তু এখানে ভেন্টিলেটর বা উন্নত চিকিৎসার কোনও পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও ঘাটালে এখনও ভেন্টিলেটর নিয়ে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। দাবি উঠলেও ঘাটালে ‘পিকু’ (পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট) চালু করা নিয়েও তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ। শনিবার ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নতুন করে চারজন শিশু ভর্তি হয়েছে। এ দিন মোট ২৩ জন এআরআই আক্রান্ত শিশু ভর্তি রয়েছে। ঘাটাল সুপার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সুব্রত দে বলেন, “শিশু ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। আলাদা ভাবে এআরআই ক্লিনিক খোলা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”