ধান কিনতে স্বসহায়ক দল, জানালেন খাদ্যমন্ত্রী

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান সংগ্রহের জন্য চলতি বছর স্ব-সহায়ক দলগুলিকে ধান কেনার কাজে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘রাজ্যে এ বছর প্রায় ২ কোটি মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক ও মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৯
Share:

মেদিনীপুরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নিজস্ব চিত্র।

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান সংগ্রহের জন্য চলতি বছর স্ব-সহায়ক দলগুলিকে ধান কেনার কাজে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘রাজ্যে এ বছর প্রায় ২ কোটি মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছরে ৫২ লক্ষ মেট্রিক ধান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হয়েছে। ধান কেনায় গতি বাড়াতে এ বছর প্রথম স্বসহায়ক দলকে যুক্ত করা হচ্ছে।’’

Advertisement

তিনি জানান, প্রতি দু থেকে চারটি গ্রাম পিছু একটি করে স্ব-সহায়ক দলকে নিযুক্ত করা হচ্ছে। স্বসহায়ক দল শুধু গ্রামের কোন কোন চাষি ধান বিক্রি করতে চায় তা জানাবে। সেইসব চাষিদের কাছ ধান কেনার জন্য খাদ্য দফতর ব্যবস্থা নেবে। স্বসহায়ক দল প্রতি কুইন্টাল পিছু ৩২ টাকা ২৫ পয়সা পাবে।

চলতি বছরে ধান সংগ্রহের কাজে শ্লথগতির কারণ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ধান কেনার জন্য এবছর আরটিজিএস পদ্ধতির মাধ্যমে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ফলে চাষিরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা ধান বিক্রির টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া সত্বেও চাষিরা ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা পাচ্ছেন না বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।’’

Advertisement

খাদ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনায় কেন্দ্রের কাছ থেকে ১৬০০ কোটি টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু বকেয়া টাকা আমরা পাইনি। কিন্তু ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া তো বন্ধ রাখা যাবে না। ধান সংগ্রহের জন্য রাজ্য সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’’ যে সব সমবায় সমিতির অফিসে এখনও কম্পিউটার নেই তাদের দ্রুত কম্পিউটার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরেও এসেছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। জেলা প্রশাসনের কর্তা, বিধায়ক, চালকল মালিক, সমবায় সমিতির কর্তাদের সঙ্গে মেদিনীপুর শহরে জেলা পরিষদ হলে বৈঠক করেন তিনি। “মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে রাজ্যে ২৩টি নতুন চালকল তৈরি হয়েছে। আরও ১৫টি চালকল তৈরি হবে। নতুন চালকল গড়লে ভর্তুকিও দেবে সরকার। মন্ত্রী বলেন, “জঙ্গলমহলে চালকল তৈরিতে ৭৫ হাজার টাকা ও আর জঙ্গলমহলের বাইরে ৪৫ হাজার টাকা ভর্তুকি
দেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement