সাংবাদিক বৈঠকে রশ্মি কোমল। নিজস্ব চিত্র।
করোনার জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ৮০ হাজার ভোটার বাড়ল। নভেম্বরে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরেও প্রচুর নাম ওঠে। এ বার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পেতে দেখা গেল, ভোটারের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এই ভোটারদের একটা বড় অংশ পরিযায়ী শ্রমিক। এ ছাড়া নতুন ভোটারও রয়েছেন।
করোনার জেরে ভিন রাজ্য থেকে প্রতিটি জেলায় বাড়ি ফিরে এসেছেন প্রচুর মানুষ। তাঁদের অনেকে আস্তে আস্তে কাজের জায়গায় ফিরেও গিয়েছেন। অনেকেই আবার বাড়িতেই রয়ে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা দীর্ঘ দিন কাজের সূত্রে বাইরে থাকায় হয় ভোটার তালিকায় নাম ওঠেনি বা পরে বাদ পড়ে গিয়েছে। তাঁদের অনেকেই এবার বাড়িতে থাকার সূত্রে নাম তুলেছেন ভোটার তালিকায়। আর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন ভোটার। সব মিলিয়ে শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় দেখা গেল, ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে ৭৯ হাজার ৭০৩।
১৮ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সময় ভোটার ছিল ৩৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭২৯ জন। তার পরে নতুন তালিকায় আরও ৭৯ হাজার ৭০৩ নাম যোগ হয়ে মোট ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩২ জনের নাম প্রকাশিত হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৩৬ বেড়ে হয়েছে ৪৬ জন। মহিলা ভোটার বেড়েছে ৪৩ হাজার ৪৭১ জন। আর পুরুষ ভোটার বেড়েছে ৩৬ হাজার ২২২ জন। অর্থাৎ পুরুষের থেকে মহিলা ভোটার বেড়েছে ৭ হাজার ২৪৯ জন।
জেলায় মোট পুরুষ ভোটার ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৮ জন। গত বার যা ছিল ১৯ লাখ ০৫ হাজার ৫৩৬ জন। এবার মহিলা ভোটার সংখ্যা হয়েছে ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬২৮ জন। গত বার সংখ্যাটা ছিল ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৫৭।
জেলাশাসক রশ্মি কোমল শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এবারে ভোটার তালিকায় অনেক পরিযায়ী শ্রমিক নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। এ ছাড়াও নতুন ভোটার তো রয়েইছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী একটি বুথে ১০৫০ জন করে ভোটার থাকার কথা। সেই অনুযায়ী আরও প্রায় ১ হাজার ১০০ বুথ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে জেলা জুড়ে।