—প্রতীকী চিত্র।
স্বামী পরিত্যক্তা একজন তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করা এবং পরে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তাকে নন্দকুমার থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুকেশ মিশ্র। অমৃতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সুকেশ নিজের গ্রামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক পদে রয়েছেন। ওই সংস্থার নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর সভানেত্রী রয়েছেন নন্দকুমার থানার মীরপুর গ্রামের বাসিন্দা একজন তরুণী। সুকেশের সঙ্গে বেশ কয়েকবছর আগে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। তরুণীর অভিযোগ, ‘‘আমি স্বামী পরিত্যক্তা। সুকেশ নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে বিয়ের প্রলোভনে আমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। আমি প্রথমে রাজি না হওয়ায় মোটা বেতনের স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়েতে রাজি করিয়েছিলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিভিন্ন মিটিং ও সেমিনারে যোগ দেওয়ার অজুহাতে বিভিন্ন জায়গায় হোটেলে নিয়ে গিয়ে আমার সঙ্গে সহবাস করেছিলেন।’’ তরুণীর আরও অভিযোগ, সহবাস করলেও পরবর্তী সময়ে সুকেশ তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তাঁর জাত তুলে গালিগালাজ করেন। গত ২৮ মার্চ সুকেশ তরুণীর বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেন বলে দাবি। সেই সময় প্রতিবাদ করলে তরুণীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে সুকেশের বিরুদ্ধে।
এর পরে সুকেশ মিশ্রের বিরুদ্ধে ওই তরুণী নন্দকুমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নন্দকুমার থানার পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেন। আদালতে ওই তরুণীর গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে নন্দকুমার থানার পুলিশ মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রামে সুকেশের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তমলুকের এসডিপিও সাকিব আহমেদ বলেন, ‘‘নন্দকুমার থানা এলাকার এক মহিলা মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’