Cheetah

হর্ষিণীর ছানার খোঁজ নেই, চিড়িয়াখানায় চিন্তা

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, প্রসবের পরে চার দিন শাবককে নিয়ে রাত্রিবাসের ঘরেই ছিল হর্ষিণী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০২:১৮
Share:

চিতাবাঘ হর্ষিণী। ফাইল চিত্র

বাংলা বছরের প্রথম দিনই পৃথিবীর আলো দেখেছে সে। চিতাবাঘ হর্ষিণীর সেই সদ্যোজাত ছানারই খোঁজ মিলছে না।

Advertisement

গত ১৪ এপ্রিল, নববর্ষের দিন চিড়িয়াখানার এনক্লোজার লাগোয়া রাত্রিবাসের ঘরে শাবক প্রসব করেছিল স্ত্রী চিতাবাঘটি। চিড়িয়াখানার কর্মীরা কাছে গেলেই তর্জন-গর্জন করছিল হর্ষিণী। সেই কারণে প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শে পর্যাপ্ত খাবার-দাবার দিয়ে চিতাবাঘের এনক্লোজারের দিকে বিশেষ যাচ্ছিলেন না কর্মীরা। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, প্রসবের পরে চার দিন শাবককে নিয়ে রাত্রিবাসের ঘরেই ছিল হর্ষিণী। ওই ঘর লাগোয়া খাবারের ঘরে ঢুকে মাংসও খেয়েছে সে। শনিবারই প্রথম রাত্রিবাসের ঘর থেকে এনক্লোজারে বেরোয় চিতাবাঘটি। দিনভর এনক্লোজারে ঘুরে বেড়ায় সে। বিশাল এলাকা জুড়ে থাকা এনক্লোজারে ঘন ঝোপ থাকায় হর্ষিণী তার শাবকটিকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে সেটাই বুঝতে পারছেন না কর্মীরা।

রবিবার রাত্রিবাসের ঘর তল্লাশি করে শাবকটিকে পাওয়া যায়নি। রাত্রিবাসের ঘরে খাবারের টোপ দিয়ে হর্ষিণীকে আটকে রেখে এনক্লোজারে শাবককে খুঁজতে উদ্যোগী হয়েছিলেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হর্ষিণী এনক্লোজার থেকে একটি বারের জন্যও খাবারের ঘরে যায়নি। প্রাণী চিকিৎসকের অনুমান, এনক্লোজারের কোনও ঝোপে কিংবা ফোঁকরে শাবকটিকে লুকিয়ে রেখেছে মা চিতাবাঘ। ডিএফও (ঝাড়গ্রাম) বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, ‘‘মা চিতাবাঘ শাবকদের এক জায়গায় রাখে না। সেই কারণে হর্ষিণী তার শাবককে এনক্লোজারের ভিতরে কোথায় রেখেছে, ঘন ঝোপের কারণে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।’’ প্রাণী চিকিৎসক চঞ্চল দত্ত জানালেন, বিড়াল গোত্রীয় মা চিতাবাঘও শাবককে মুখে করে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যায়। হর্ষিণীও সম্ভবত রাত্রিবাসের জায়গা থেকে শাবকটিকে বের করে এনক্লোজারের ঝোপে রেখেছে। তাকে খাবারের টোপ দিয়ে রাত্রিবাসের ঘরে আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এনক্লোজারে তল্লাশি চালিয়েই শাবকটিকে পাওয়া যাবে বলেই আশা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement