এ বার দিঘা পাচ্ছে চিড়িয়াখানা। নিজস্ব চিত্র।
দিঘার মুকুটে যোগ হতে চলেছে আরও এক নতুন পালক। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য দিঘায় তৈরী হতে চলেছে একটি চিড়িয়াখানা। প্রাথমিক ভাবে এর জন্য জমি দেখার কাজ শুরু করে দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। জায়গা পাকা হলেই ‘সেন্ট্রাল জু অথরিটি’-র অনুমোদন নেওয়ার পালা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে কিছু দিনের মধ্যেই ‘মিনি জু’ দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় প্রাণিবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ (জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা জেডএসআই)-এর সহায়তার এর আগে বাংলার প্রথম ‘সামুদ্রিক (মেরিন) প্রাণীর অ্যাকোয়ারিয়াম’ তৈরি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এই জনপ্রিয় সৈকত পর্যটনকেন্দ্রে।
প্রস্তাবিত ‘মিনি জু’ প্রকল্পের বিষয়ে এখনও বিস্তারিত ভাবে জানাননি প্রশাসনিক আধিকারীকেরা। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি বলেন, ‘‘পর্যটকদের কাছে দিঘাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার। গত কয়েক বছরে দিঘার চেহারায় আমূল বদল ঘটেছে। এবার দিঘাতে একটি ‘মিনি জু’ গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা চলছে।’’
জেলা শাসক আরও জানান, এই মুহুর্তে প্রকল্পটি প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। জায়গা চিহ্নিত করার পাশাপাশি একাধিক অনুমোদন প্রয়োজন। তাই এখনই চিড়িয়াখানার বিষয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব নয়। তবে প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, চিড়িয়াখানার জন্য নিউ দিঘাতে জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই প্রকল্প রূপায়ণে কমপক্ষে ২২ থেকে ২৪ একর জায়গা প্রয়োজন। তবে নতুন করে জায়গা অধিগ্রহণের কোনও সম্ভাবনা নেই। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের হাতে থাকা জায়গাতেই ‘মিনি জু’ গড়ে তোলা হবে।
রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দিঘাকে গোয়া বানানোর কথা জানিয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে গত কয়েক বছরে দিঘার সৌন্দর্য্যায়ন হয়েছে বিস্তর। ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা হয়ে উঠেছে অনেক বেশী ঝাঁ চকচকে। দিঘার সৌন্দর্যায়নের টানে ছুটির দিনগুলোতে দিঘায় উপচে পড়ে পর্যটকদের ভীড়। এই মুহুর্তে দিঘায় মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে পার্ক, টয়ট্রেন, সায়েন্স সিটির মতো জায়গা। এবার দিঘায় চিড়িয়াখান হলে তা পর্যটক মহলে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করবে সন্দেহ নাই।