ঘরের পথে আশিস। সোমবার মেচেদা স্টেশনে।
ভাইয়ের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। মেচেদা স্টেশন থেকে তাঁকে উদ্ধার করল রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)।
রবিবার বিকেলে শালিমার থেকে মুম্বইগামী ট্রেন থেকে আশিসকুমার যাদব নামে বছর উনিশের ওই যুবককে মেচেদা স্টেশনে উদ্ধার করে আরপিএফ। বিহারের মধুবনি এলাকার বাসিন্দা আশিসকে উদ্ধারের পর তাঁর পরিবারকে সব জানানো হয়। সোমবার পরিবারের সদস্যরা মেচেদায় পৌঁছলে আশিসকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মেচেদা আরপিএফ থানা সূত্রে খবর, গত শনিবার আশিস তাঁর কাকার ছেলের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোন। মধুবনি থেকে যশিডি স্টেশনে যাওয়ার জন্য দু’জনে ট্রেনে ওঠেন। যশিডি স্টেশনে আশিস ট্রেন থেকে নেমে জল খেতে গিয়ে আর কাকার ছেলের থেকে আলাদা হয়ে পড়েন। তাঁকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের লোকজন রেল পুলিশকে বিষযটি জানান। তাঁর ছবি ও বাবার মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়।
আরপিএফ সূত্রে খবর, পটনায় রেল সুরক্ষা বাহিনীর কন্ট্রোল রুম থেকে হাওড়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে ছবি এবং ফোন নম্বর সহ আশিসের হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। এদিকে আশিস ট্রেনে চেপে শালিমারে পৌঁছে যান। রবিবার দুপুরে ফের শালিমার থেকে মুম্বইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে বসেন। ট্রেনের এক যাত্রী সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আশিসের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা জানতে পারেন। তিনি ট্রেনে আশিসকে দেখে চিনতে পারেন এবং রেলের খড়্গপুর কন্ট্রোল রুমে ফোন করে তাঁর কথা জানান। খড়্গপুরের ডিভিশনাল কন্ট্রোল থেকে মেচেদা স্টেশনের আরপিএফ থানাকে জানানো হয়। বিকেল ৪টে নাগাদ মুম্বইগামী এক্সপ্রেস মেচেদা স্টেশনে পৌঁছলে আশিসকে উদ্ধার করা হয়।
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনের একটি কামরায় আশিস ঘুমিয়েছিলেন। তাঁকে উদ্ধারের পর তাঁর পরিবারকে খবর পাঠানো হয়। সোমবার সকালে আশিসের বাবা-দাদা ও কাকা মেচেদায় এসে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। আশিসের বাবা রঞ্জিৎ যাদব খাবার হোটেল চালান। এদিন ছেলেকে ফিরে পেয়ে বলেন, ‘‘আশিসের কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাই একা বেরোতে দেওয়া হত না। ভাইয়ের সঙ্গে বেরোলেও চিন্তা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটল। তবে ছেলেকে যে পাওয়া গিয়েছে তাতে আমরা খুশি।’’
মেচেদা আরপিএফ-এর ওসি প্রমোদকুমার বলেন, ‘‘আমরা কন্ট্রোল থেকে খবর পাওয়ার পরে ট্রেনে ওই যুবককের খোঁজ করি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’