ধৃত: রাজশেখর গিরি।
সিভিক ভলান্টিয়ার পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা ও ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ ব্লকের মুড়াকাটা এলাকার রাজশেখর গিরি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। তিনি বিধায়ক পরেশ মুর্মুর ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। স্থানীয় সূত্রের খবর, রাজশেখরের বিধায়কের অফিসে যাতায়াত ছিল। তিনি নিজেকে ব্লকের সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করলেও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তা মানতে নারাজ।
পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃতকে রবিবার খড়্গপুর আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাবে পুলিশ। এর আগে কেশিয়াড়ির একই এলাকা থেকে সঞ্জয় ভুঁইয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই রাজশেখরের নাম জানতে পারে পুলিশ। পরে অভিযোগ পেয়ে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রাজশেখর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি কোনও ভাবে এই কাজে যুক্ত নন। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি কেশিয়াড়িতে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের শিকার।
ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অশোক রাউত বলেন, ‘‘প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে শুনেছি। তবে তিনি কোনও পদে নেই।’’ তিনি কি বিধায়ক ঘনিষ্ঠ? অশোক বলেন, ‘‘বিধায়কের অফিসে বসতেন। যাতায়াত ছিল। এর বেশি কিছু জানি না।’’ রাজশেখর বলেন, ‘‘আমি নিজেই একজন চাকরি প্রার্থী। আমি কেন অন্যের কাছ থেকে টাকা নিতে যাব। বিধায়ক পরেশ মুর্মুর সঙ্গে থেকে দলের কাজ করতাম।’’
যদিও বিধায়ক পরেশের দাবি, ‘‘কিছুই জানতাম না। ঘনিষ্ঠ বলে কিছু নয়। আমাদের সহকর্মী ছিল। অফিসে এসে মানুষের কিছু পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করত। তবে দলের সঙ্গে যুক্ত বলে অন্যায় করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে না এমনটা তো নয়। আমরাও তাঁকে আড়াল করার চেষ্টাও করিনি।’’