প্রতীকী ছবি।
ধৃত যুবক জঙ্গলে পাখি মারতে গিয়েছিল। পরে ঘটনাচক্রে বচসা থেকে সে মহিলাকে খুন করেছে। তদন্তে এমনটাই জেনেছে পুলিশ।
গত শনিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির খামারবাড়ে স্থানীয় জঙ্গলের মধ্যে থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় নীচু মাহাতো নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিজনেদের অভিযোগ ছিল, নীচুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাশের গ্রামের দীপু হেমব্রমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মেদিনীপুর আদালতের নির্দেশে ধৃত দীপু এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। ধৃত খুনের কথা স্বীকার করলেও ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেনি বলেই দাবি করেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক মানছেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থেই ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’’ পুলিশের এক সূত্র জানাচ্ছে, ওই মহিলা ওই দিন বিকেলে জঙ্গলে ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন। ধৃত যুবক দাবি করেছে, সে ওই দিন বিকেলে জঙ্গলে পাখি মারতে গিয়েছিল। সে একটি পাখিকে ‘টার্গেট’ করে দৌড়চ্ছিল। তখন ওই মহিলার সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। মহিলা তখন ছাগল খুঁজছিলেন। পুলিশের কাছে ধৃতের দাবি, ওই ধাক্কা অনিচ্ছাকৃত ছিল। মহিলা তা মানতে চাননি। এরপর কথা কাটাকাটি থেকে বচসা শুরু হয়। ক্রমে বচসা তীব্র হয়। এরপরেই ওই মহিলাকে ধৃত যুবক খুন করে বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা প্রায় নিশ্চিত যে ওই মহিলাকে গলা টিপেই খুন করেছে দীপু। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি। সেটি এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। মহিলার উপরে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না তাও জানা যাবে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রয়োজনে ফের জিজ্ঞাসাবাদ হবে।’’
স্থানীয় এক সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, ঘটনার দিন রাতে জঙ্গল থেকে ফোন কুড়িয়ে পেয়েছিল পুলিশ। ফোনটি দীপুর ছিল। তার সূত্রেই অভিযুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।