—প্রতীকী ছবি।
রাস্তার ধারে বলের মতো কিছু একটা পড়ে ছিল। কুড়োতে গিয়ে পা ফস্কে পড়ে যেতেই বিস্ফোরণ! তাতেই জখম হল বছর এগারোর এক শিশু। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের মনোহরপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। জখম শিশুর নাম শেখ নুর ইসলাম। তাকে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে শিশু জখম হওয়ার ঘটনার পর সেখান থেকে আরও দু’টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। দিন কয়েক আগেও পূর্ব মেদিনীপুরেরই ময়নায় ফেলে রাখা বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ি থেকে সামান্য দূরে রাস্তায় খেলা করছিল শিশুটি। সেই সময় রাস্তার পাশে পাইপ লাইনের ধারে কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখে সে। এগিয়ে যেতে আচমকাই পা ফস্কে যায় তার। পাশের ঝোপে গিয়ে পড়ে সে। আর সেই সময়েই বিস্ফোরণ। যার জেরে ছিটকে রাস্তার অন্য পাশে গিয়ে পড়ে শিশুটি। গ্রামবাসীরাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটির আঘাত গুরুতর হলেও বিপদের আশঙ্কা নেই। তাই তাকে চিকিৎসার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জখম শিশুর দাদু শেখ সোহরাব বলেন, ‘‘ঝোপের মধ্যে বোমা ফেলে রেখে গিয়েছিল কেউ। আমার নাতি ওই জায়গায় যেতেই বোমা ফাটে। ওর পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। আমরা পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও দু’টি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখলাম। এগুলো কে বা কারা ফেলে গিয়েছে, তা আমাদের জানা নেই।’’ শিশুর পরিবার জানায়, পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিয়ে গিয়েছে। এক পড়শি বলেন, ‘‘এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর তৈরি হয়েছে নন্দীগ্রামে। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল বরাবরই বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতেই এই বোমাগুলিকে মজুত করা হয়েছিল। তারই একটি থেকেই আজ বিস্ফোরণ হয়েছে।” পাল্টা তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষকান্তি ভুঁইয়ার বক্তব্য, ‘‘নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে বিজেপির হামলায় তৃণমূলের বেশ কয়েক জন জখম হয়েছে। এই এলাকাতেও বিজেপিই ষড়যন্ত্র করে বোমাগুলিকে ফেলে গিয়েছিল।”