হাসপাতালে ওই বিজেপি কর্মী। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির পোলিং এজেন্টকে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জল চাইলে তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায়। বিজেপির তোলা ওই অভিযোগকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ বলে আখ্যা দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতারা।
দিন দু’য়েক আগে গড়বেতার মায়তা অঞ্চলের বাসিন্দা বিজেপির ওই পোলিং এজেন্টকে তৃণমূল কর্মীরা তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ বিজেপির। এর পর তাঁকে মায়তা এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢুকিয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। শুক্রবার রাতে ওই বিজেপি কর্মীকে ভর্তি করানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। তাঁকে দেখতে যান জেলার বিজেপির নেতারা। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি শমিত দাসের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের লোকজন আমাদের কর্মীর থেকে টাকা চেয়েছিল পিকনিক করবে বলে। ওই বিজেপি কর্মী অত্যন্ত গরিব। টাকা দিতে না পারলে তাঁকে গড়বেতার মায়তা এলাকায় দলীয় পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। ওই সব তৃণমূল কর্মী মত্ত অবস্থায় ছিল। মার খাওয়ার পর আমাদের ওই কর্মী জল চইলে তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। এক জন অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের মুখে প্রস্রাব করার মতো ঘৃণ্য ঘটনা আর কিছু হতে পারে না। আমরা এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামব।’’
বিজেপির ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটের তথা বিধায়ক অজিত মাইতির দাবি, ‘‘গড়বেতায় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বের সময় বা ভোটের দিন কোনও গন্ডগোল হয়নি। গন্ডগোল হতে পারে এমন আশঙ্কায় আমরা বিজয়মিছিলের সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছি। ভোট তো কবে চুকে গিয়েছে। আর আজ বিজেপি আষাঢ়ে গল্প ফাঁদছে। এটা বললে হবে?’’ এই ‘গল্প’ ছড়িয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্ররোচনা তৈরি করা হচ্ছে বলেও দাবি অজিতের।