এগিয়ে চলার শপথ। শনিবার খড়্গপুর আইআইটি-র সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। ছবিটি তুলেছেন সৌমেশ্বর মণ্ডল।
৬২তম সমাবর্তন শুরু হল খড়্গপুর আইআইটি-তে। শনিবার প্রতিষ্ঠানের নেতাজি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছে। চলবে আজ, রবিবার পর্যন্ত। এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন সহ-সভাপতি সেনাপতি ‘ক্রিস’ গোপালাকৃষ্ণন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইআইটির অধিকর্তা পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী, পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
উত্তীর্ণ স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও গবেষক পড়ুয়াদের হাতে এ দিন শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এ বারই প্রথম বিটেকে শীর্ষ স্থানাধিকারী দুই ছাত্রকে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। যুগ্মভাবে পদক পেয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্সের পৃথ্বীশ মুখোপাধ্যায় ও সোহম দান। খড়্গপুর আইআইটি-র অধিকর্তা পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, “প্রতি বছর আমরা একজন শীর্ষ স্থানাধিকারীকে এই স্বর্ণপদক দিই। কিন্তু এ বার পৃথ্বীশ ও সোহম একই বিভাগ থেকে একই স্থান পেয়েছে। আমরা তাই আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
শারীরিক অক্ষমতাকে পিছনে ফেলে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কৃতী অর্পণ বসুও এ দিন অনুষ্ঠান মঞ্চে শংসাপত্র নেন। করতালিতে তাঁকে কুর্নিশ জানান পড়ুয়া ও অধ্যাপকেরা। পরে পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, “তিরিশ বছর আগের কথা মনে পড়ছে, যে দিন আমি এই আইআইটিতে ছাত্রদের আসনে ছিলাম। বুঝেছিলাম, এই ডিগ্রি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমাকে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার শক্তি জোগাবে।’’ আর সবশেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গোপালাকৃষ্ণনের বার্তা, “আপনাদের গবেষণার শীর্ষস্থানে পৌঁছতে হবে যাতে আমরা ভবিষ্যতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যোগ দিতে পারি। সেই সঙ্গে আপনাদের দ্বারা নিরক্ষরদের শিক্ষিত করতে চাই, যাতে তাঁরা ভবিষ্যতে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে। এ কাজ আপনারাই পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।’’
এ দিন অনুষ্ঠান মঞ্চে ২৯৮জনকে ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়। আইআইটির দাবি, গত বছরের তুলনায় এ বার ২০শতাংশ বেশি গবেষক পড়ুয়াকে ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হল। ৫২২জনকে বিটেক, ৩০জনকে স্থাপত্যবিদ্যার ডিগ্রি, ৪৮৯জনকে ডুয়াল ডিগ্রি, ১৮১জনকে পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এমএসসি ডিগ্রি, ১১৩জনকে ২বছরের এমএসসি ডিগ্রি ও ২৮জনকে এমএস রিসার্চে শংসাপত্র দেওয়া হয়। আজ, রবিবার ৬৫২জনকে এমটেকের শংসাপত্র দেওয়া হবে।