প্রথম বিভাগে পাঁউশির তিন

অনেক লড়াই করে, পড়াশোনা শিখে বড় হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বেশ কিছু ছেলেমেয়ে। তাঁদের ভরসা বাবা বলরাম করণ। এ বার বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছিলেন প্রাণজিৎ দাস। তিনি পেয়েছেন ৩৪৪।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ১৪:০০
Share:

গর্বিত: বলরামবাবুর সঙ্গে চার সফল ছাত্রী। —নিজস্ব চিত্র।

অন্য সব পরীক্ষার্থীদের থেকে ওঁরা ছিলেন একটু আলাদা। বাড়ি নেই, মা-বাবার কথা অনেকের মনেও পড়ে না। পড়াশোনা ওরা সকলেই শিখেছেন পালিত বাবা বলরাম করণের কাছে। পাঁউশির পাঁচ আবাসিক এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তিন জন প্রথম বিভাগে, দু’জন দ্বিতীয় বিভাগে। বলরামবাবু বলেন, ‘‘আরও দু’জন পরীক্ষা দিয়েছিল। বৃত্তি মূলক বিষয়ে। সে বিষয়ে তাঁদের ফল প্রকাশিত হয়নি।’’

Advertisement

অনেক লড়াই করে, পড়াশোনা শিখে বড় হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বেশ কিছু ছেলেমেয়ে। তাঁদের ভরসা বাবা বলরাম করণ। এ বার বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছিলেন প্রাণজিৎ দাস। তিনি পেয়েছেন ৩৪৪। বাসুদেব ও সুরজিৎ মান্না পেয়েছেন ৩৩৩ ও ২৮২। বায়ো সায়েন্স-এ প্রিয়াঙ্কা মাইতি পেয়েছেন ৩৪৮। কলা বিভাগের ছাত্রী পম্পা বর ২৯৮
নম্বর পেয়েছেন।

ছেলেমেয়েদের ফলে খুশি আশ্রমের অধ্যক্ষ বলরামবাবু। তিনি বলেন, ‘‘লড়াইটা সার্থক হল। ওরা আরও বড় হোক। আমি পাশে আছি।’’ আশ্রমে সব থেকে বেশি নম্বর পাওয়া প্রাণজিতের কথায়, “এখানে না থাকলে এত দূর পর্যন্ত পড়াশোনা করতেই পারতাম না। ভালো ফল করে বাবার লড়াইটাকেই মর্যাদা দিতে চেয়েছিলাম। আমি খুশি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement