প্রতীকী ছবি
নাবালিকা প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন বছর একুশের এক যুবক। তা মেনে নিতে পারেনি নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ, তারা ওই যুবকের বাড়িতে এসে তাঁকে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দেয়। আর তা পান করে আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। ঘটনায় পুলিশ নাবালিকার মা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করছে।
মহম্মদপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মহম্মদপুরের বাসিন্দা রতন মান্না। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে পাশের বেনাউদা গ্রামের এক নবম শ্রেণির ছাত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কয়েকদিন আগে রতন একা প্রেমিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পারে গত বুধবার দুপুরে মেয়ের মা-সহ তাঁদের কয়েকজন আত্মীয় রতনের বাড়িতে আসেন। সে সময় বাড়িতে রতন এবং তাঁর মা ছিলেন। বাবা কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, নাবালিকার পরিজন রতনকে গালি দেন এবং নিজেদের বাড়ি থেকে আনা কীটনাশকের বোতল তাঁর হাতে ধরিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন।
রতনের পরিবার সূত্রের খবর, ওই ঘটনার সময় তাঁর মা বাড়ির ভিতরে গিয়েছিলেন। তিনি বাইরে এসে দেখেন রতন কীটনাশক পান করেছেন। প্রতিবেশীরা অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে রতনকে তমলুক জেলা হাসপাতাল এবং সেখান থেকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়।। শুক্রবার রাতে রতনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, ওই কাণ্ডের পরে বাড়ি পালিয়ে যান নাবালিকার পরিজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রতনের বাবা ভোলানাথ মান্না ভগবানপুর থানায় নাবালিকার মা-সহ আত্মীয়দের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে যাঁরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন, অবিলম্বে তাঁদের শাস্তি চাই।’’
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মেয়ের মা ফুল্লরা জানা, মেসো চন্দন মান্না, চন্দনের দুই ছেলে গোপাল মান্না, গোবিন্দ মান্না এবং সন্তু মাপা নামে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে তোলা হয়। বিচারক ফুল্লরার চারদিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।