দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। সোহম গুহর তোলা ছবি।
অসম থেকে এসে দিঘা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় জখম হলেন একই পরিবারের চারজন। জখম হয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা গাড়ির চালকও। শুক্রবার সকালে মারিশদা থানার দুরমুঠ এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, অসমের বরপেটা জেলার দহাটির বাসিন্দা দীপক পাঠক সপরিবারে কলকাতায় এসেছিলেন। সেখান থেকেই একটি গাড়ি ভাড়া করে যাচ্ছিলেন দিঘায় ছুটি কাটাতে। এ দিন সকালে দিঘা-কলকাতা সড়কে হাওড়ামুখী একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাঁদের গাড়িটির। ঘটনায় আহত হয়েছেন দীপকবাবু, তাঁর স্ত্রী রেণুকাদেবী, মেয়ে বর্ষা, দাদা অজিত পাঠক এবং গাড়ির চালক নিরঞ্জন প্রসাদ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যেই এই দুর্ঘটনা। দুরমুঠ বাসস্ট্যান্ডের কাছে বাসটি দ্রুতগতিতে এসে গাড়িটিতে ধাক্কা মারে। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। বাসটিও কাত হয়ে পড়ে পাশের নয়ানজুলিতে। তবে বাসের যাত্রীরা কেউ জখম হননি। স্থানীয় বাসিন্দারাই গাড়ির যাত্রীদের উদ্ধার করেন। তাঁদের মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দত্ত জানান, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলেও অজিত পাঠক ও চালক নিরঞ্জন প্রসাদের আঘাত গুরুতর। অজিতবাবুর ও-নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত দরকার ছিল। স্থানীয় বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী উদ্যোগী হয়ে উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে রক্ত সংগ্রহ করে আনেন।
কলকাতার ‘অসম ভবন’-এর পক্ষ থেকে আহতদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধ্যার পরই। বরাপেটায় পাঠক পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দীপক ও অজিতবাবুর ভাইপো বিকাশ পাঠক জানান, অসমের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী দীপক পাঠক। স্ত্রী, মেয়ে ও দাদাকে নিয়ে দিঘায় বেড়াতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর তাঁরা জেলা প্রশাসনের কাছে পেয়েছেন। শনিবার বিমানেই কলকাতায় আসছেন বিকাশবাবু।এ দিনই অটোর সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় জখম হল পাঁচ জন। শুক্রবার খড়্গপুর শহরের ছোটট্যাংরা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। জখমরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।