amphan

রান্নাঘর সারাতে ৪ কোটি

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির কাছ থেকে দু’টি ভাগে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জমা নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ঘূর্ণিঝড় আমপানে গত মে মাসে জেলার বহু প্রাথমিক ও হাইস্কুলের ক্ষতি হয়েছিল। কোথাও ভেঙেছিল রান্নাঘর তো কোথাও উড়েছিল খাওয়ার হলঘরের ছাউনি। রান্নাঘর এবং হলঘরগুলির মেরামতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করল জেলা প্রশাসন। দু’হাজার ৪৭২টি স্কুলের জন্য জেলা প্রশাসনের মিড ডে মিল বিভাগ চার কোটি ৭৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দেবে।
প্রাথমিক এবং হাইস্কুল মিলিয়ে কয়েক হাজার স্কুলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতির জন্য জেলাপ্রশাসনের কাছে অর্থ সাহায্যের দাবি তোলে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির কাছ থেকে দু’টি ভাগে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জমা নেওয়া হয়েছিল। প্রথম ভাগে শ্রেণিকক্ষ ভবন, শৌচাগার, আসবাবের মতো বিষয়ের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জমা নেয় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতর। দ্বিতীয় ভাগে মিড-ডে মিল রান্নার ঘর-গুদামঘর ও খাওয়ার ঘরের ছাউনির ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জমা নেয় জেলা মিড-ডে মিল দফতর। দু’টি ক্ষেত্রেই ছবি এবং মেরামতির জন্য সম্ভাব্য অর্থের পরিমাণ চাওয়া হয়েছিল। স্কুল গুলির কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার সরকারি ভাবে এখন অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ মঙ্গলবার অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে একটি নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির নিরিখে স্কুলগুলিকে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। ব্যাঙ্ক আকাউন্টের মাধ্যমে ওই অর্থ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। চাকা পাওয়ায় ৬০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার এলাকায় স্কুলগুলির মেরমতির কাজ দেখাশোনা করবেন মহকুমাশাসক এবং গ্রামীণ এলাকায় তা দেখবেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও। ৬০ দিনের মধ্যে মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ করে খরচের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক অরূপ ভৌমিক এবং বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সতীশ সাহু বলছেন, ‘‘রান্নাঘর-হলঘর মেরামতির অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আরও অর্থ প্রয়োজন। এ বিষয়ে জেলাপ্রশাসনের বিবেচনা করা উচিত। ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল ভবন মেরামতির জন্যও দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করা হোক।’’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নন্দীগ্রাম-১ এবং সুতাহাটা ব্লকের ২৮২টি ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের ভবন মেরামতির জন্য দু’কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। তাই অন্য স্কুলগুলিকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে বলছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। এ ব্যাপারে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘আপাতত রান্নাঘর, হলঘর মেরামতের অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। শ্রেণিকক্ষের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement