Drowning Death

টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল দুই ভাই

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর তিন কিশোরই খড়্গপুর শহরের ইন্দা নিউ ট্র্যাফিক এলাকার রেল কলোনির বাসিন্দা। তিন জনই পড়ত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রবিবার ছুটির দিনে টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত কাঁসাই নদীর অ্যানিকাট ড্যামে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল খড়্গপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির দুই ছাত্র। দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ও স্থানীয়েরা। আরও এক ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত দুই ছাত্র পীয়ূষ পাসোয়ান (১৫) ও আরিয়ান পাসোয়ান (১৫)। সম্পর্কে দু’জনেই ভাই।

Advertisement

পরিবার সূত্রে খবর, টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে মায়ের স্কুটি নিয়ে রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল খড়গপুর শহরের ইন্দা নিউ ট্র্যাফিক এলাকার বাসিন্দা আরিয়ান পাসোয়ান, পীয়ূষ ও আর্য বেরা। তিন বন্ধু স্কুটিতে করে পৌঁছে গিয়েছিল খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত কাঁসাই নদীর অ্যানিকাট ড্যামে। রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। সাঁতার না জানা সত্ত্বেও আরিয়ান ড্যামের অনেকটা গভীরে নেমে যায়। এর পরেই জলস্রোতে তলিয়ে যেতে থাকে সে। তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয় পীয়ূষও। দু’জনই তলিয়ে যায়। এর পর আর্যের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। তাঁরাই প্রথমে আর্যকে টেনে নিয়ে আসেন। পরে আরিয়ান ও পীয়ূষের দেহও উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে এলাকায় যায় খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। দু’জনের দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর তিন কিশোরই খড়্গপুর শহরের ইন্দা নিউ ট্র্যাফিক এলাকার রেল কলোনির বাসিন্দা। তিন জনই পড়ত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে। আরিয়ান ও পীয়ূষ আবার সম্পর্কে তুতো ভাই। আরিয়ানের বাবার মৃত্যু হয়েছিল আগেই। বাড়িতে মা ও ভাই আছে। মা ঊষা পাসোয়ান পেশায় রেলকর্মী। পীয়ূষের বাবা রাজেশ পাসোয়ান বলেন, ‘‘আমিও রেলকর্মী। ডিউটিতে ছিলাম। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। তত ক্ষণে সব শেষ। আরিয়ান আমার বড় ছেলে। আর আরিয়ান ভাগ্না। টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিল। এর বেশি আর কী বলব।’’ পুলিশের এক আধিকারিক জানান, দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement