প্রতীকী ছবি।
কাঁকড়া খেয়ে আবারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটল দিঘায়। পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত শহরে এসে কাঁকড়া খেয়েছিলেন ১৮ বছরের এক কিশোরী। তার পরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল তাঁর। এর পর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। এ বছরই দিঘায় ঘুরতে এসে কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেহালার ২২ বছরের যুবক সৌম্যদীপ শিকদারের।
জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম ঋত্বিকা ভগত (১৮)। তাঁর বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাটের হাটতলায়। পরিবারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দিঘায় ঘুরতে এসেছিলেন ওই কিশোরী। ঘুরতে এসে কাঁকড়া খাওয়াই কাল হল।
বৃহস্পতিবার পরিবারের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন ঋত্বিকা। সমুদ্র সৈকত ঘোরার পর রাতে একটি হোটেলে খেতে যান তাঁরা। সে সময়ই সামান্য কাঁকড়া খেয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার ভোর থেকে আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ঋত্বিকার। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। কাঁকড়া খেয়ে অ্যালার্জির কারণেই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঋত্বিকার প্রতিবেশী রাজীব পাল বলেছেন, ‘‘ঋত্বিকার বরাবরই অ্যালার্জির সমস্যা ছিল। চিকিৎসাও চলছিল। তবে দিঘায় বেড়াতে এসে হোটেলে সামান্যই কাঁকড়া খেয়েছিল। তারই খেসারত জীবন দিয়েই মেটাতে হল।’’
গত ২১ নভেম্বর দিঘায় বেড়াতে এসে একই ভাবে কাঁকড়া খেয়ে প্রাণ গিয়েছিল বেহালার সৌম্যদীপের। ওই যুবকও নিজের অ্যালার্জির সমস্যা ভুলে কাঁকড়া খেয়েছিলেন। এক মাস পেরতে না পেরতে একই ঘটনার পুরনাবৃত্তি হল দিঘায়।