তমলুকে মিষ্টি দোকান বন্ধ করছে পুলিশ। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সরকারের সম্পূর্ণ লকডাউন মানতে অনীহা। যার জেরে শুক্রবার তমলুক মহকুমায় গ্রেফতার হলেন ১২ জন ব্যবসায়ী। পরে অবশ্য তাঁরা জামিনে ছাড়া পান।
শুক্রবার এবং শনিবার— রাজ্যে পরপর দু’দিন সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে রবিবার সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার (নিট) দিকে লক্ষ রেখে শনিবারের লকডাউন প্রত্যাহার করেছে রাজ্য সরকার। তবে এ দিন ছিল রাজ্য জুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে সকালই থেকে জেলা সদর তমলুকে বহু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দোকান খোলার অভিযোগ উঠল। পুলিশের তৎপরতায় আনাজ, মাছ, মাংস, ফল, মিষ্টি-সহ ওই দোকান বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি, তমলুক শহরে হাসপাতাল মোড়, বড় বাজার, জেলখানা মোড়, গঞ্জনারায়ণ বাজার-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
শহরের জেলখানা মোড় এলাকায় কয়েকজন মহিলা আনাজ ব্যবসায়ী এ দিন আনাজ নিয়ে রাস্তার পাশে অস্থায়ীভাবে পসরা সাজিয়ে বসেন। পুলিশ খবর পেয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। শহরে ষোলফুকার গেট এলাকায় বেআইনিভাবে মদ দোকান খোলার অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায়। তবে খবর পেয়ে আগেই তারা পালিয়ে যায়। তমলুক ছাড়াও নন্দকুমাররের ব্যবত্তারহাট, কোলসর, ময়না বাজার, চণ্ডীপুর বাজারে একাংশ ব্যবসায়ী এদিন সকালে দোকান খোলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, তমলুকের হাসপাতালমোড় এলাকায় হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের পাশে একটি মিষ্টির দোকান খোলা হয়েছিল। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দোকান বন্ধ করার পাশাপাশি দোকানের মালিককে গ্রেফতার করে। একই ভাবে শহরের গঞ্জনারায়ণপুর বাজার থেকে এক মিষ্টি দোকানদার ও এক ফল দোকানদার-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। তমলুক-পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এক মিষ্টি দোকানদারকে, বড় বাজার থেকে এক মাছ ও এক মাংস দোকানদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দোকানদারদের প্রত্যককে জামিনে ছেড়ে দেওয়ায় হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ‘‘তমলুক শহর-সহ বিভিন্ন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে লকডাউন ভঙ্গের অভিযোগে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’