শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ফাইল চিত্র।
মিড ডে মিল-এ বছরভর পাতে ভালমন্দ জোটে না। তা নিয়ে অভিযোগও কম নেই। এ হেন রাজ্যে চার মাসের জন্য মিড ডে মিল-এ মাংস, ডিম, ফল দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘পঞ্চায়েত ভোটমুখী’ রাজনীতির অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার জবাব দেওয়ার পথে হাঁটলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এ দিন দমদমে দিদি-র ‘সুরক্ষা কবচ’ এবং ‘দিদির দূত’ কর্মসূচির সূচনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট পশ্চিমবঙ্গে আছে। কিছু দিন আগে ত্রিপুরায় হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ,গুজরাতে না-হয় অনেকাংশে নিরামিষাসী। কিন্তু ত্রিপুরায় সরকার বাচ্চাদের মাংস দিতে পারল না? কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপে স্কুলগুলিতে বাচ্চারা আনন্দ পাচ্ছে, খুশি হচ্ছে।’’ বিরোধীদের অভিযোগকে কটাক্ষ করে ব্রাত্যর মন্তব্য, ‘‘পড়ুয়াদের আনন্দকে যাঁরা রাজনৈতিক স্টান্ট বলার মতো রুচিহীন মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।’’ একইসঙ্গে স্কুলে মিড ডে মিল-এর থালা নিয়ে বর্ণবৈষ্যমের অভিযোগ করে বিজেপিকে বিঁধেছেন তিনি।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। মহামান্য আদালত যা নির্দেশ দেবেন, সে ভাবেই হবে।’’ শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গেই ব্রাত্য বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় যে ভাবে ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, তা অকল্পনীয়। আমরা যখন তাঁদের নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম তখন বলা হয়েছিল যে শিক্ষকদের নিজেদের রাস্তা খুঁজে নিতে হবে।’’