ফাইল চিত্র।
জিটিএ নিয়ে ডাকা বৈঠক শেষ পর্যন্ত স্থগিত করে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গত ২৭ জুলাই মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, জিটিএ নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক হবে ৭ অগস্ট দুপুর তিনটেয়। দিল্লির নর্থ ব্লকে বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে শোরগোল পড়ে যায় পাহাড়ে।
বিজ্ঞপ্তিটি দেখার পরেই বিজেপির দুই জোটসঙ্গী জিএনএলএফ এবং বিমল গুরুংপন্থী মোর্চা জানিয়ে দেয়, তারা এই বৈঠকে যোগ দেবে না। গুরুঙ্গের সহযোগী রোশন গিরি এবং জিএনএলএফ নেতৃত্ব জানান, তাঁরা জিটিএ-র বৈধতা মানেন না। পৃথক রাজ্যের দাবিতে পাহাড়ে একাধিক বার আন্দোলন হয়েছে। সেই দাবির সম্ভাবনাই ফের উস্কে দিয়ে বিজেপির সহযোগীরা জানান, একমাত্র দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নিয়ে আলোচনা হলে তবেই তাঁরা যাবেন। পরের দিন বিনয় তামাংও জানিয়ে দেন, বৈঠকে তাঁরা যোগ দেবেন না। তাঁর কথায়, জিটিএ নিয়ে কোনও দরকার হলে রাজ্যের কাছে বলা হবে।
পাহাড়ের একটি অংশের মত, সব দিকের এই চাপের মুখে বৈঠকটি আপাতত স্থগিত করে দিল কেন্দ্র। তবে কেন বৈঠকটি স্থগিত করা হল, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘আমাদের দল সংকল্পপত্রে যা বলেছে, তা পাহাড়বাসীর জন্য করবে।’’ তবে কবে আবার বৈঠক হবে, কী বিষয় নিয়ে হবে, তা নিয়ে তিনি নীরব।