saradha scam

Saradha Scam: একটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর সারদা-কর্তার

সম্প্রতি নতুন করে সুদীপ্তের সঙ্গে ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তিদের যোগাযোগের ব্যাপারে নতুন কিছু তথ্য উঠে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১ ০৬:১১
Share:

সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। ফাইল চিত্র।

তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মোট চারটি মামলার মধ্যে তিনটিতে আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। কিন্তু আরসি-৬ মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন সোমবার খারিজ করে দিয়েছে মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত।

Advertisement

সুদীপ্তের আইনজীবী সমীর দাস সম্প্রতি ওই জামিনের আবেদন করেছিলেন। সমীরবাবু বলেন, ‘‘এই একই মামলায় সারদার অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৩ সালের এপ্রিলে সুদীপ্ত ও দেবযানীকে একসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সুদীপ্ত প্রায় আট বছর ধরে হাজতবাস করছেন।’’ সিবিআইয়ের আইনজীবী সুরেন্দ্র সিংহের বক্তব্য, এই মামলায় জামিনের আবেদন সংক্রান্ত শুনানি হাই কোর্টে হওয়া উচিত। দু’পক্ষের বক্তব্যের পরে সুদীপ্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক দীপাঞ্জন সেন।

আদালত সূত্রের খবর, সারদা কাণ্ডে এ রাজ্যে সিবিআইয়ের দায়ের করা দু’টি মামলা আলিপুরের অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় বিচারকের কাছে রয়েছে। একটি মামলা আছে বিধাননগর আদালতে এবং ব্যাঙ্কশালে মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চলছে চতুর্থ মামলা। প্রথম তিনটি মামলায় সুদীপ্তের জামিন হলেও ব্যাঙ্কশাল আদালতে আরসি-৬ মামলায় জামিন হয়নি তাঁর।

Advertisement

সমীরবাবু এ দিন বলেন, ‘‘সুদীপ্ত নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। কিন্তু তার পরে বছরখানেক কেটে গেলেও স্রেফ টাকার অভাবে ওই জামিনের শর্ত অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকার বন্ড জমা দেওয়া যায়নি। তাঁর আত্মীয়বন্ধুরাও কোনও যোগাযোগ রাখেন না। রাজ্য সরকারের অধিকাংশ মামলায় জামিন হয়েছে। কিন্তু সে-সব ক্ষেত্রেও জামিনের শর্ত অনুযায়ী বন্ড দেওয়া যায়নি। সুদীপ্তের দুই স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তানেরা আর্থিক অনটনে রয়েছেন। সুদীপ্তের শারীরিক অবস্থাও ভেঙে পড়েছে। তিনি খুবই অসুস্থ।’’

সিবিআইয়ের এক কর্তার দাবি, সারদা তদন্ত এখনও চলছে। সম্প্রতি নতুন করে সুদীপ্তের সঙ্গে ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তিদের যোগাযোগের ব্যাপারে নতুন কিছু তথ্য উঠে এসেছে। আমানতকারীদের টাকা যে সুদীপ্তের কাছ থেকে প্রভাবশালীদের একাংশের কাছে পৌঁছেছিল, সেই বিষয়ে আরও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। প্রয়োজনে জেলে গিয়ে সুদীপ্তকে আবার জেরা করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বিধাননগর ও আলিপুর আদালতের অধীনে থাকা দু’টি মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement