—প্রতীকী চিত্র।
কিউআর কোড ব্যবহার করে মোবাইলের মাধ্যমে টিকিট কাটার ব্যবস্থা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় আগেই চালু হয়েছে। এ বার ওই ব্যবস্থার পাশাপাশি, কিউআর কোড নির্ভর কাগজের টিকিট চালু করার কথা ভাবছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই ব্যবস্থা সফল হলে প্রথমে ইস্ট-ওয়েস্টে এবং পরে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো-সহ শহরের অন্য মেট্রোপথেও তা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বর্তমানের টোকেন নির্ভর ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে দিয়ে এই কিউআর কোড নির্ভর ব্যবস্থাই চালু করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
মেট্রো সূত্রের খবর, পুজোর আগে আগামী বুধবার থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ স্টেশনে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ব্যবস্থা চালু হতে পারে। যে সব যাত্রী স্মার্ট কার্ড ছাড়া মূলত টোকেন নিয়ে সফর করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই সমমূল্যের কিউআর কোড যুক্ত কাগজের টিকিট দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বিভিন্ন স্টেশনে যে সব স্বয়ংক্রিয় গেট রয়েছে, তার সব ক’টিতেই কিউআর কোড স্ক্যান করার বিশেষ যন্ত্র আগেই বসানো হয়েছে। মোবাইলে কাটা টিকিট যে ভাবে স্ক্যান করা হয়, এ ক্ষেত্রেও সে ভাবেই কাগজের টিকিটের কোড পাঠ করে যাত্রীর জন্য দরজা খুলে দেবে ওই ব্যবস্থা। বিপুল সংখ্যক যাত্রীর ক্ষেত্রে কিউআর কোড নির্ভর ব্যবস্থা কী ভাবে কাজ করবে, আগামী বুধবার থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ স্টেশনে কার্যত তারই মহড়া দিতে চায় মেট্রো। এমনটাই জানিয়েছেন মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
মেট্রো সূত্রে জানা যাচ্ছে, উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো বা ব্লু লাইনে টোকেন নির্ভর ব্যবস্থায় প্রতিদিন মেট্রোর বিপুল সংখ্যক টোকেন খোয়া যায়। যাত্রীদের একাংশ প্রায়ই টোকেন ফেরত দেন না। দিনে প্রায় হাজারেরও বেশি টোকেন খোয়া যাওয়ার ফলে মেট্রোর যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি হয়। এ ভাবে টোকেন খোয়া যাওয়ার প্রবণতা কমাতে সম্প্রতি মেট্রোর বিভিন্ন স্টেশনে এবং ট্রেনে টোকেন পরীক্ষার অভিযান চালানো হয়। ওই ব্যবস্থার পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে বিকল্প পথের কথা চিন্তা করতে গিয়েই কিউআর কোডের পরিকল্পনা করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সব স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় গেটে ওই যন্ত্র বসানোর কাজ আগেই শেষ হয়েছে। তবে বিপুল সংখ্যক যাত্রীর ক্ষেত্রে ওই ব্যবস্থা কেমন ভাবে কাজ করবে, তা আগে যাচাই করে দেখে নিতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাই প্রথমে ইস্ট-ওয়েস্টে ওই ব্যবস্থা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ জন্য যাত্রীদের থেকেও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।