অনুষ্ঠানে সব্যসাচীর পাশাপাশি হাজির ছিলেন অরিন্দম শীল, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
প্রকৃতির মাঝে ছবির মেলা। মার্লিন গোষ্ঠী আয়োজিত ‘মার্লিন গ্রিন ফ্রেমস ফটোগ্রাফি’ প্রতিযোগিতা। তাতে চোখধাঁধানো ছবি তুলে পুরস্কার নিয়ে গেলেন পরিবেশপ্রেমীরা। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অরণ্যপ্রেমী তথা অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, পরিচালক অরিন্দম শীল এবং অভিনেতা-পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
প্রকৃতি সংরক্ষণ। দূষণের দুনিয়ায় পরিবেশ রক্ষার দাবি নতুন নয়। এ বার এই বিষয়কে পাখির চোখ করেই মার্লিন আয়োজন করেছিল ছবি তোলা প্রতিযোগিতার। পরিবেশের তাকলাগানো ছবি তুলে সেই প্রতিযোগিতা মাতিয়ে দিলেন প্রতিযোগীরা। পুরস্কার বিতরণীর আসর বসেছিল মার্লিন অ্যাকোয়াভিলে। পুরস্কার পেলেন তরুণ চিত্রশিল্পী পূবারুণ বসু এবং প্রকৃতি চিত্রশিল্পী বিশাখা দত্ত। এ ছাড়াও পৃথা রায়, সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, অরিন্দম সাঁতরা, পল্লব রায়চৌধুরী, রাকিন মাজিদ, অভিষেক পাল, সৌমাল্য দাস, অ্যালিজ় সুজ়ুকি পুরস্কার পেলেন। জয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিতে তাঁর আগ্রহ বহু দিনের। সব্যসাচী ছাড়াও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পরিচালক অরিন্দম শীল এবং অভিনেতা-পরিচালক পরমব্রতও।
সব্যসাচী চক্রবর্তীর হাতে পুরস্কৃত সেরারা। — নিজস্ব চিত্র।
সোনি ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে গত ১১ এবং ১২ মার্চ অ্যাকোয়াভিলে একটি দু’দিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দেখা গেল এমন চমৎকার প্রকৃতির চোখধাঁধানো ছবি। প্রতিযোগীদের ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়েছে একাধিক বিরল এবং অসাধারণ দেখতে পাখির ছবি। বিরল নয় তবে হালফিলের বাংলায় চোখে প্রায় পড়েই না, এমনও অনেক পাখির ছবিও দেখা গিয়েছে। যা দেখে অভিভূত সব্যসাচী নিজেও। ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রতিযোগীদের দক্ষতার।
প্রতিযোগিতার আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতার সেরা ছবিগুলিকে নিয়ে একটি সংকলনও তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে। ফলে প্রতিযোগিতার পরেও সেরাদের তোলা ছবি দেখার সুযোগ মিলবে বছরভর।