প্রতীকী ছবি।
প্রতিবাদ চলছে প্রথম দিন থেকেই। শুক্রবার সকালেও শান্তিনিকেতনে আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যেরা ব্যানার ও পোস্টার হাতে প্রতিবাদ মিছিল করেন। বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী, আশ্রমিক, পড়ুয়া ও গবেষকদের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। মিছিল শেষে মুখোমুখি আলোচনার দাবি জানিয়ে সমিতির সভানেত্রী ও সম্পাদিকা স্মারকলিপি জমা দিতে যান বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে। তবে, উপাচার্যের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। শেষে কর্মসচিবের আপ্ত সহায়কের হাতে স্মারকলিপি জমা দেন।
১০ ডিসেম্বর আশ্রমের ভিতরে আলাপিনীর অধিবেশন কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত ‘নতুন বাড়ি’ ছেড়ে দিতে বলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিরোধের সেই সূত্রপাত। ১ জানুয়ারি নতুন বাড়ি সিল করে দেন কর্তৃপক্ষ। ৪ তারিখ বিশ্বভারতী কর্মী পরিষদ জানায়, আলাপিনীর কিছু সদস্যের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধানে অগ্রসর হয়েছেন। কিন্তু, আলাপিনীর সভানেত্রী ও সম্পাদিকা এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই জানিয়ে কর্মী পরিষদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তোলেন। তখনই এ দিনের প্রতিবাদ মিছিলের কথা জানানো হয়েছিল।
এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ অমর্ত্য সেনের ‘প্রতীচী’ বাড়ির সামনে থেকে মিছিল সঙ্গীতভবন, কলাভবন, কাচমন্দির হয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে। ব্যানারে লেখা, ‘বিশ্বভারতীর আলাপিনী মহিলা সমিতিকে ঘর ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ এবং কর্মী পরিষদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আলাপিনী ও শুভার্থীদের পদযাত্রা’। ব্যানারে, পোস্টারে ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীতের গানের পঙ্ক্তি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে মিছিল করেও উপাচার্য দেখা না করায় ক্ষুব্ধ সদস্যরা। সমিতির সদস্যা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এক জন ৮৬ বছরের বৃদ্ধা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। সৌজন্যের খাতিরে উপাচার্য সেটুকুও করলেন না। এই ঘটনা তাঁকে এবং সমিতিকে অপমান করা ছাড়া আর কিছুই নয়।’’
বিশ্বভারতী সূত্রে জানানো হয়েছে, আলাপিনীর সদস্যাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনায় বসা হয়েছে। কিছু সমাধান সূত্রও বেরিয়ে এসেছে। আন্দোলনকারীরা তা মানতে না চাইলে কিছু করার নেই। বিশ্বভারতীর এস্টেট অফিস আলাপিনীকে দেওয়ার জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজছে। সে ক্ষেত্রে, সমিতিকে রেজিস্ট্রেশন, নিয়মিত নির্বাচন ও অডিট করাতে হবে। বিকল্প জায়গার ঠিক ভাড়াও দিতে হবে।