প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা বাড়াতে বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলির জন্য চিকিৎসার দর পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এখন প্রশাসন এমন ভাবে দর-তালিকা পরিমার্জন করতে চাইছে, যাতে সরকারের উপর আর্থিক বোঝা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে না যায়, আবার বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিরও তাতে সুবিধা হয়।
প্রশাসনের খবর, এ ব্যাপারে শনিবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দর-তালিকা নিয়ে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, অর্থসচিব-সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলির সঙ্গে কথা বলেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। তার ভিত্তিতে শীঘ্রই চিকিৎসার নতুন সরকারি দর চূড়ান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’-এর কর্মসূচি। তা শেষ হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। রাজ্য মনে করছে, তত দিনে নথিভুক্ত উপভোক্তার সংখ্যা এক কোটি পেরিয়ে যেতে পারে। তাই রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমকে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা দিতে বলেছে সরকার। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড অথবা ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর (যতদিন না কার্ড মিলছে, ততদিন) থাকলে কোনও রোগীকে না ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেও সরকার। যে হেতু স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় সরকারের বেঁধে দেওয়া দরে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে চিকিৎসা দিতে হবে, তাই সেই দর পরিমার্জনের অনুরোধ পৌঁছেছিল সরকারের কাছে। আধিকারিকমহলের ব্যাখ্যা, দর পরিমার্জন না করলে পরিষেবা দেওয়া তাদের পক্ষে যে মুশকিল, তা সরকারকে জানিয়েছিল বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতালগুলি। তার ভিত্তিতেই দর পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।