প্রতীকী ছবি
করোনা কালে বিধিনিষেধ মেনে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাতেই কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে রোগীদের। তার পরেও প্রয়োজনীয় ওষুধ মিলছে না রাজ্যের একমাত্র চক্ষু চিকিৎসার রেফারাল হাসপাতাল রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজি(আরআইও)-তে। যে সব ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না, তার মধ্যে অন্যতম গ্লুকোমার ওষুধ টিমোলল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২৬ দিন আগে এই ওষুধের স্টক শেষ হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই হাসপাতালে না পেয়ে খোলা বাজার থেকেই এই ওষুধ কিনতে হচ্ছে রোগীদের।
রোগীকে নিঃশব্দে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায় গ্লুকোমা। এই রোগে চোখের শিরা শুকিয়ে যায়। সময় মতো চিকিৎসা না হলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব বলে জানান চিকিৎসকরা। এখন প্রশ্ন হল, গ্লুকোমা রোগে টিমোললের ভূমিকা কী? চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্লুকোমা আক্রান্তদের চোখের প্রেশার কমাতে এবং যে সব শিরা শুকিয়ে যাচ্ছে তাদের সতেজ রাখতে সাহায্য করে এই ওষুধ। আরআইও-তে প্রতি মাসে আড়াইশোর মতো টিমোলল ভায়ালের দরকার পড়ে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে মাস কয়েক আগে শেষ বার এই ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছিল আরআইও-তে। খবর, সেই সময় পাঁচ হাজার ভায়াল ওষুধ চেয়েছিল আরআইও। আরআইও-র দাবি, ওই সময় হাজার দেড়েক ভায়াল পেয়েছিল তারা। সেই ওষুধ গত ২৬ দিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
টিমোললের ঘাটতির আশঙ্কা করেই জুলাই মাসের প্রথম থেকে এই ওষুধ হাতে পেতে উদ্যোগ নেয় আরআইও। এ বার দশ হাজার ভায়াল ওষুধ চেয়ে পাঠান আরআইও কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কবে সেই ওষুধ পাওয়া যাবে, তা এখনও অনিশ্চিত।
সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহের জন্য নির্দিষ্ট সংস্থা আছে। সেই সংস্থা ওষুধ সরবরাহ করলেই এই ওষুধ পাওয়া সম্ভব বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। আরআইও অধিকর্তা অসীম ঘোষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি শঙ্কায় রয়েছি। প্রতিনিয়ত মনে হচ্ছে, গ্লুকোমা রোগের প্রয়োজনীয় এই ওষুধ না পেয়ে আরও কিছু মানুষ অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘এখন সরকারের তরফ অনেক দামি ওষুধ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সময় মতো সেই ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের নথিভুক্ত ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি যাতে সময়ে ওষুধের জোগান দিতে পারে, সে বিষয়ে আরও সজাগ থাকতে হবে।’’