প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে ডাক্তারির স্নাতকোত্তর (এমডি, এমএস) পরীক্ষার তারিখ তিন মাস এগিয়ে নিয়ে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যে পরীক্ষা সাধারণত জুন মাসে হওয়ার কথা, তা এগিয়ে এনে করা হয়েছিল ২৫ মার্চ।
স্বাস্থ্যভবন ও স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ভোট ঘোষণার পরে এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন। কারণ, ভোট হবে ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত। সাত দফাতেই পশ্চিমবঙ্গের কোনও না কোনও অংশে ভোট থাকবে এবং এমডি-এমএসের পরীক্ষা এগিয়ে আনার ফলে ওরাল প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা পড়েছে ৪-১৮ এপ্রিল পর্যন্ত!
ফলে প্রশ্ন উঠেছে, ভোটের দিনের সঙ্গে পরীক্ষার দিন এক হলে পরীক্ষার্থী এবং পরীক্ষকেরা তো অসুবিধায় পড়বেন। চিকিৎসক সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স’ এর তরফে মানস গুমটার কথায়, ‘‘ভোটের তারিখ না জেনে আগেভাগে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা এগিয়ে আনলেন কী করে?’’ এমডি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন এক সরকারি চিকিৎসকের কথায়, ‘‘এর ফলে আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিটাও ঠিকঠাক হল না। আবার ওরাল প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নিয়েও জটিলতা তৈরি হল। প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ডাক্তারিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভোট দেব না কি পরীক্ষা দেব?’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজেন্দ্র পান্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি, এসএমএসের উত্তর দেননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্লাবন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এক বার যখন পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে, তা পিছনো যাবে না। আমরা একাধিক বৈঠক করছি। কোন কোন ওরাল প্র্যাকটিক্যাল ভোটের দিনগুলিতে পড়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘এখনও পর্যন্ত কোনও পরীক্ষক বা পরীক্ষার্থী আমাদের জানাননি যে, ভোটের দিন পরীক্ষা পড়লে তাঁদের অসুবিধা হবে। ফলে যত দিন না অভিযোগ আসছে, আমরাও ওরাল প্র্যাকটিক্যালের দিন বদলানোর কথা ভাবছি না।’’