অলঙ্করণ: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য।
চার বছর পর, এসএসকেএম হাসপাতালে কুকুরের ডায়ালিসিস কাণ্ডে তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের নেতা এবং বিধায়ক নির্মল মাজিকে সতর্ক করল মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। একই সঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজেন্দ্র পাণ্ডে এবং রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রকেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রদীপ মিত্র সেই সময় এসএসকেএমের অধ্যক্ষ ছিলেন। রাজেন্দ্র পাণ্ডে ছিলেন এসএসকেএমের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান।
২০১৫ সালের ১৩ জুন এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল শুধুমাত্র আনন্দবাজার পত্রিকায়। ডায়ালিসিসের জন্য মরণাপন্ন রোগীরা পর্যন্ত যেখানে এসএসকেএমে ‘ডেট’ না পেয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করে বসে থাকেন, সেখানে নিজের ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ার কুকুরের ডায়ালিসিসের জন্য সব ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছিলেন নির্মলবাবু। অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন তত্কালীন অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান। কিন্তু বিভাগীয় চিকিত্সকদের লিখিত আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে এই ডায়ালিসিস আটকে যায়।
খবরটি নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়। চাপের মুখে বদলি হয়ে যান অধ্যক্ষ প্রদীপ মিত্র। মামলা গড়ায় আইন-আদালত পর্যন্ত। অন্য দিকে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন প্রবাসী চিকিত্সক কুণাল সাহা।
আরও পড়ুন: দেবাঞ্জন খুনে প্রথম গ্রেফতার, তৃষার প্রাক্তন প্রেমিক প্রিন্স এখনও ফেরার
আরও পড়ুন: ‘কল্কি ভগবান’-এর আশ্রমে আয়কর হানা, উদ্ধার ৫০০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি
সেই অভিযোগের তদন্তের ভিত্তিতেই, এত দিনে নির্মলকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করল কাউন্সিল। তীব্র নিন্দাও করা হয়েছে সেই ঘটনার। যদিও কাউন্সিলের থেকে এই ধরনের কোনও চিঠি তিনি পাননি বলে দাবি নির্মল মাজির। আনন্দবাজারকে তিনি বলেন, “আমি কোনও চিঠি পাইনি। কোথায় কে অভিযোগ করেছে, আমি বলতে পারব না। যার কোনও ক্রিয়াই নেই, তার প্রতিক্রিয়াও আমি দেব না। এমন কিছু হয়নি।”
সেই ডায়ালিসিস কাণ্ড নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টেও। বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা দায়ের করেছিলেন।