ফাইল চিত্র।
গত সাত মাসে ১১টি কেসে চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
এত দিন কাউন্সিলে কেস দায়ের করার পরে বছরের পর বছর অপেক্ষা করাই ছিল দস্তুর। আচমকা বদলে গিয়েছে কাউন্সিলের কর্মসংস্কৃতি। কাউন্সিলের পেনাল কমিটি এখন নিয়মিত বৈঠক করে জমে থাকা কেস নিষ্পত্তি করছে।
পেনাল কমিটির একাধিক সদস্য মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে সম্প্রতি সোচ্চার হওয়ার পরেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে কাউন্সিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সক্রিয়তা প্রমাণ করে নিজেদের নম্বর বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কাউন্সিলের কিছু কর্তা। এত দিন অভিযোগ ছিল, বেশির ভাগ কেসেই কাউন্সিল চিকিৎসকদের দোষী সাব্যস্ত করে না, ছেড়ে দেয়। সেই দুর্নামও খণ্ডাতে চাইছেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কর্তারা।
এত দিন যে কাউন্সিলে বছরে মেরেকেটে চার-পাঁচটি কেসের রায় বেরোত, সেই কাউন্সিলই চলতি বছরে প্রথম সাত মাসের মধ্যে রেকর্ড দ্রুততায় আড়াইশো কেসের রায় ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১১টি কেসে চিকিৎসকদের সাজা ঘোষণা হয়েছে। শুধু জুনেই ৬টি কেসে চিকিৎসকেরা সাজা পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের এক বছরের জন্য, ২ জনের দু’বছরের জন্য ও ১ জনের তিন মাসের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। জানুয়ারিতে বাতিল হয়েছে ৩ চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন। জুলাইয়ে ২ জন চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে। এই মামলাগুলি ২০১০ সাল থেকে জমে ছিল।
কাউন্সিলের সভাপতি নির্মল মাজির কথায়, ‘‘পুজোর আগেই জমে থাকা আরও প্রায় ২০০টি কেস শেষ করা হবে।’’ রাজ্যে নতুন স্বাস্থ্য কমিশন হয়েছে। ঠিক হয়েছে, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলি কমিশন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে পাঠাবে। তাতে এমনিতেই কেসের সংখ্যা বাড়বে। পুরনো কেস জমে থাকলে নতুন কেসের সমাধানে সমস্যা হবে বলেও এই তৎপরতা, এমনই জানিয়েছেন কাউন্সিলের কর্তারা।