পরিদর্শন: সুজাপুরে ঘটনাস্থলে মৌসম নুর। নিজস্ব চিত্র
বন্ধের দিন মালদহের সুজাপুরে গোলমালে বাম ও কংগ্রেসের উপরই দায় চাপালেন মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নুর। সেই সঙ্গে, সুজাপুর কাণ্ড নিয়ে পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুরের যে অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গে মৌসমের বক্তব্য, অন্যায় করলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। পুলিশের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত থাকলে, তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে। রবিবার বিকেলে সুজাপুর নয়মৌজার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানান মৌসম। তিনি এও বলেন, পুলিশ তদন্তের নামে সাধারণ মানুষকে যেন হয়রান না করে। সে ব্যাপারে, কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল কালিয়াচক থানার আইসি-র সঙ্গে দেখা করে। আজ সোমবার তারা পুলিশ সুপারের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতি ও নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ডাকা বন্ধকে কেন্দ্র করে গত ৮ তারিখ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সুজাপুর। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব ঘটনার দায় পুরোপুরি পুলিশের উপরেই চাপায়। এ দিন সুজাপুরের সভায় মৌসম বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস সেদিন বন্ধ করার পাশাপাশি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে সুজাপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। পুলিশ সে সময় পথ অবরোধ তুলতে গেলে ঝামেলা হয়। তার অভিযোগ, ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একাংশ দুষ্কৃতী পুলিশের গাড়ি সহ সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর করে।’’ তাঁর প্রশ্ন, বাম ও কংগ্রেস যদি তাদের আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তবে সেদিন তারা কেন পথ অবরোধ করেছিল?
মৌসমের অভিযোগ নিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমর মিত্র বলেন, ‘‘সেদিনের ঘটনার নানা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তা দেখেই মানুষ বুঝতে পারছে যে পুলিশ কিভাবে সেদিন অশান্তি ছড়ায়। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে শাসকদল এখন বাম ও কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলছে।’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘তৃণমূল বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।’’