খড়্গপুর স্টেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মাসাজ চেয়ারও 

এ বার স্টেশনেই সামান্য খরচে এ সব পরিষেবা পাবেন রেলযাত্রীরা। প্ল্যাটফর্মে থাকবে হেলথ্‌ কিয়স্ক, স্বয়ংক্রিয় মাসাজ চেয়ার।

Advertisement

দেবমাল্য বাগচী

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০১:১১
Share:

ফাইল চিত্র।

দীর্ঘ ট্রেন যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন! মনে হচ্ছে হাত-পা মাসাজ করা গেলে ভাল হত!

Advertisement

কিংবা ট্রেন সফরের মাঝেই হঠাৎ বুকে ব্যথা, রক্তচাপ মাপা জরুরি!

এ বার স্টেশনেই সামান্য খরচে এ সব পরিষেবা পাবেন রেলযাত্রীরা। প্ল্যাটফর্মে থাকবে হেলথ্‌ কিয়স্ক, স্বয়ংক্রিয় মাসাজ চেয়ার।

Advertisement

যাত্রী সাচ্ছন্দ্য ও রেলের আয় বাড়ানো— জোড়া উদ্দেশ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে এই ধরনের পরিষেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে খড়্গপুর রেল ডিভিশন। দু’টি সংস্থার থেকে এমন প্রস্তাব পেয়ে তা অনুমোদনের পথে এগোচ্ছে রেলের এই ডিভিশন। খড়্গপুরের মতো ‘এ-ওয়ান’ ক্যাটেগরির স্টেশনে ওই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা হয়েছে। দ্রুত তা চালু হলে দক্ষিণ-পূর্ব রেল জোনে প্রথম খড়্গপুরই পাবে এমন অভিনব স্টল।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “যাত্রীদের চাহিদা বাড়ছে। আমরাও আধুনিক পরিষেবা বাড়াতে উদ্যোগী হচ্ছি। এতে ট্রেন ভাড়ার বাইরে রেলেরও আয়ের উৎস বাড়ছে।’’ তিনি মানছেন, ‘‘দক্ষিণ-পূর্ব রেলে এখনও কোনও স্টেশনে চিরাচরিত স্টলের বাইরে অভিনব স্টল চালু হয়নি। খড়্গপুরে কিছু প্রস্তাব এসেছে। আশা করছি ভাল কিছুই হবে।”

এত দিন পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের ভাড়া ছাড়া প্ল্যাটফর্মের চিরাচরিত স্টল যেমন চা, বই, রেস্তোরাঁ— মূলত এই সব স্টল থেকে রেলের আয় হত। এ ক্ষেত্রে দরপত্র ডেকে বিভিন্ন সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়। রেল সূত্রে খবর, নতুন ধরনের স্টলের ক্ষেত্রে দরপত্র ডাকা হচ্ছে না। বিভিন্ন সংস্থা থেকে নতুন ভাবনা জানিয়ে প্রস্তাবের আবেদন আহ্বান করা হচ্ছে। বিষয়টি রেলের কমার্শিয়াল বিভাগ দেখছে। খড়্গপুর রেল ডিভিশনে সম্প্রতি হায়দরাবাদের একটি সংস্থা ‘হেলথ কিয়স্ক’ খোলার প্রস্তাব জানিয়েছে। সেখানে যন্ত্রে ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেশার মাপা হবে। হবে আরও কিছু স্বাস্থ্যপরীক্ষা। আরেকটি সংস্থা স্টেশনে মাসাজ চেয়ার বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

আপাতত এই দু’টি প্রস্তাব রূপায়ণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে খড়্গপুর রেল ডিভিশন। কমিটি গড়ে জায়গা, ভাড়ার মতো নানা দিক খতিয়ে দেখা হবে। তার পরে ডিআরএমের অনুমোদন মিললেই ওই পরিষেবা চালু করা হবে। রেলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে খড়্গপুর-মেদিনীপুর-হাওড়া নিত্যযাত্রী সংগঠনও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement