প্রতীকী ছবি।
পরনে সন্ন্যাসীর পোশাক। থাকতেন বৈদ্যবাটীর এসটিএম রোডের ধারে একটি মঠে। শুক্রবার রাতে সেখান থেকেই মাওবাদী নেতা মনোজ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এনআইএ এবং রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ আধিকারিকেরা ওই মঠে হানা দেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বছর পঞ্চাশের মনোজের বাড়ি আদতে ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে। এসটিএম রোডের ওই মঠে তিনি থাকতেন মিলন দাস নামে। বৈদ্যবাটী পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শনগরে মনোজ একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন নাম ভাঁড়িয়েই। এক-দেড় বছর ধরে তিনি এই অঞ্চলে আছেন। আদর্শনগরের বাসিন্দারা জানান, রাস্তা তৈরির ঠিকাদার হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন মিলন ওরফে মনোজ। শান্ত প্রকৃতির লোক ছিলেন। পাড়ায় কারও সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা করতেন না। মঠ থেকে গ্রেফতার করার পরে মনোজকে নিয়ে ভাড়ার বাড়িতেও যান এনআইএ-এসটিএফ আধিকারিকেরা। সেখান থেকে প্রচুর নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। একটি মোবাইল ফোন, ব্যাঙ্কের কাগজপত্র, চেক বই থাড়াও বিভিন্ন মামলার কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছে সেখানে।
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য মনোজ আনাজ সরবরাহের কাজও করতেন। তবে সাধু-সাজের আড়ালে তাঁর আসল কাজ ছিল ভিন্ রাজ্যে কর্মরত ঠিকাদারদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা আদায় করা। তোলাবাজির সেই টাকা পৌঁছে যেত মাওবাদী সংগঠনের তহবিলে। সংগঠনের কাজে তা খরচ করা হত। প্রথম সারির মাওবাদী নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে। ঝাড়খণ্ডে নাশকতার বিভিন্ন ঘটনাতেও মনোজের যোগ ছিল বলে অভিযোগ। তবে ওই মঠের কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মনোজের আসল পরিচয় তাঁরা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি।
আরও পড়ুন: কাপড়ের মাস্ক তৈরিতে হাত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদের
আরও পড়ুন: অনুভবের পার্বণে আমরা কেউ একা নই
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)