মাস্ক কোথায়: গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধনে পড়ুয়া মডেলদের সাহায্যে তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
গঙ্গাসাগরের জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও, মেলার জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত। করোনা আবহে মেলা আয়োজনের থেকে স্বাস্থ্যবিধিতে জোর দেওয়ার কথা বলেছে আদালত। এত কিছু সত্ত্বেও রবিবার উদ্বোধনের দিনই স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল গঙ্গাসাগর মেলায়।
সংক্রমণের আশঙ্কায় যেখানে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে, সেখানে মেলার উদ্বোধনে শামিল করা হল স্কুল পড়ুয়াদের। তাদের কারওর মুখে মাস্ক চোখে পড়েনি। মানা হল না দূরত্ব-বিধিও। ফলে শুরু থেকেই প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
স্নানের সময় বিপুল ভিড়ে কী করে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে, তা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হল। করোনাকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন স্কুল পড়ুয়াদের শামিল করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকেরাও।
এ দিন বিকালে সাগরের সার্কিট হাউস চত্বরে ওই মেলার উদ্বোধন করেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা। উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে ২০২১-গঙ্গামেলা বই প্রকাশ করা হয়। মেলার গাইড ম্যাপ-সহ ও জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের ফোন নম্বর রয়েছে ওই পুস্তিকায়। সাগরে না নেমে পুণ্যার্থীদের জন্য পাত্রে জল ভরে স্নানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উদ্বোধনী মঞ্চে সব আধিকারিকের মাস্ক থাকলেও এক চিকিৎসকই মাস্ক পরেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মডেল’ দিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প দেখানো হয়। মেলা অফিস ঢোকার রাস্তার ডান দিকে ১০০দিনের কাজ, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ব্যাখ্যা করা হয়। সেখানে ‘মডেল’ হিসাবে স্কুল পড়ুয়াদের আনা হয়। বেলা তিনটে থেকেই তাদের মেলার মাঠে এনে সাজানোর কাজ চলে। তার পরে তাদের দাঁড় করানো হয় রাস্তার ধারে। এ ক্ষেত্রেও দূরত্ববিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার ভিড় কম হলেও বাইরে থেকে অনেকেই এসেছেন। এই অবস্থায় মাস্কের মতো রক্ষাকবচের বিষয়টি কী করে প্রশাসনের কর্তাদের নজর এড়িয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মেলায় আসা স্বেচ্ছাসেবীরা। মাস্ক যে ছিল না সে কথা মেনে নিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। সাগরের বিডিও সুদীপ মণ্ডল বলেন, “কেন ওদের মাস্ক ছিল না, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”