আন্দোলনের জেরে বাতিল বহু ট্রেন। —নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া কুড়মালি আন্দোলনে ছেদ পড়েনি শুক্রবারেও। আন্দোলনের জেরে শুক্রবারও রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় একাধিক ট্রেন বাতিল করা হল। বেশ কয়েকটি ট্রেনের গতিপথ বদলে দেওয়া ছাড়াও কোনও কোনও ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়। এর জেরে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।
রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় শুক্রবারও ধানবাদ, রাঁচী-গামী একাধিক দূরপাল্লার এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ঝাড়গ্রাম এবং সাঁতরাগাছি স্টেশনের মধ্যে চলা মেমু স্পেশাল ট্রেনের। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ট্রেনটি খড়্গপুর স্টেশন থেকে ছাড়বে। শুক্রবারের জন্য বাতিল করা হয়েছে, আপ ও ডাউন হাওড়া-ঘাটশিলা এক্সপ্রেসও।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কুড়মি জাতিকে তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতেও বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। ছোটনাগপুর কুড়মি মাহাতো সম্প্রদায়ের আহ্বানে মঙ্গলবার সকাল থেকেই জাতীয় সড়ক এবং রেল রোকো কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার মধ্যবর্তী খেমাশুলি এলাকা। পুরুলিয়ায় রেল রোকো কর্মসূচি পালন করা ছাড়াও মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পাশাপাশি, মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়।
এই আন্দোলন চলবে বলে আগেই হুমকি দিয়েছেন কুড়মি নেতা অশোক মাহাতো। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও লাভ হয়নি। জেলাশাসক আয়েশা রানি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। তাঁদের সমস্ত দাবি সনদ আমরা রাজ্যের কাছে পাঠাব বলেও জানানো হয়েছে।’’ প্রশাসনের এই আশ্বাসের পরেও অবশ্য আন্দোলন থামার কোনও লক্ষণ নেই।