—নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হল দলের কোর কমিটির বৈঠক। গরহাজির রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এই মুহূর্তে দলের রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ জেলার বহু নেতা। এই ঘটনায় আবার জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
বুধবার কোর কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ, মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী, তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ, কোচবিহার শহর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নিরঞ্জন দত্ত, মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী সুচিস্মিতা দেব শর্মা-সহ কোর কমিটির বাকি সদস্যরা। তবে তাতে বৈঠকে ছিলেন না সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মণের মতো হেভিওয়েট নেতা। তা নিয়ে জেলায় গোষ্ঠীকোন্দলের জল্পনা বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরেই কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে দলের একাংশের নেতাদের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে বলে দাবি। অভিযোগ, জেলা তৃণমূলে পার্থ-বিরোধী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। গিরীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ, বিনয়কৃষ্ণের মতো জেলার বেশ কিছু প্রবীণ নেতা একমঞ্চে দাঁড়িয়ে পার্থপ্রতিমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তারই প্রতিফলন কোর কমিটির বৈঠকে দেখা গিয়েছে বলে দাবি।
তবে বৈঠকের পর তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘অনেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি। বাইরে থাকার জন্যও উপস্থিত হতে পারেননি অনেকে। তবে কোর কমিটি প্রত্যেক সদস্যকেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।’’ এ নিয়ে গিরীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কাজে বাইরে থাকার জন্য কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি।’’ অন্য দিকে, রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য, ‘‘আমি কলকাতায় রয়েছি। যদিও কোর কমিটির বৈঠক সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কে কী বলেছেন, তা আমার জানা নেই।’’