Higher Secondary Exam 2020

নম্বর না-দিয়ে স্কুলে জানাতে বলায় বিভ্রান্তি

ওই সব ছাত্রছাত্রী চূড়ান্ত বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাঁদের বক্তব্য, অন্যান্য বছর ফল ঘোষণার দিনেই মার্কশিট পাওয়া যেত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৫:৪১
Share:

ছবি পিটিআই।

ফল বেরিয়েছে শুক্রবার। রবিবার তৃতীয় দিনেও অনেক পরীক্ষার্থী অনলাইনে উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর জানতে পারেননি। কারও কারও নামের পাশে নম্বরের জায়গা ফাঁকা। আবার অনেকের নামের পাশে শুধু লেখা রয়েছে ‘কনট্যাক্ট ইয়োর ইনস্টিটিউশন’ (আপনার স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করুন)। এর অর্থ কী, সেই প্রশ্ন তুলে রবিবার বেশ কিছু পরীক্ষার্থী তুমুল শোরগোল ফেলে দেন।

Advertisement

ওই সব ছাত্রছাত্রী চূড়ান্ত বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাঁদের বক্তব্য, অন্যান্য বছর ফল ঘোষণার দিনেই মার্কশিট পাওয়া যেত। কিন্তু করোনার জন্য এ বার ফল প্রকাশ আর মার্কশিট হাতে পাওয়ার মধ্যে প্রায় ১৪ দিনের ব্যবধান। যাঁরা অনলাইনে নম্বর পেয়ে গিয়েছেন, তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু অনলাইনে যাঁদের নামের পাশে নম্বরের জায়গাটা ফাঁকা বা সেখানে শুধু স্কুলে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া আছে (কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেটাও লেখা নেই), তাঁদের উদ্বেগের শেষ নেই। অতিমারির দাপটে স্কুল বন্ধ। তাই ৩১ জুলাই মার্কশিট পাওয়ার আগে যোগাযোগের উপায় নেই। তত দিন কি তাঁদের উৎকণ্ঠার চাপ সহ্য করতে হবে, প্রশ্ন পড়ুয়াদের।

দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের কয়েক জন পড়ুয়ার অভিযোগ, শনিবার অনলাইনে নম্বর দেখতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, নম্বরের জায়গায় কিছু নেই। ওই স্কুলের এক ছাত্রী জানান, শুক্রবার ফল বেরোনোর পর থেকে এ-পর্যন্ত তিনি এবং তাঁর অন্তত ৫০ জন সহপাঠী নম্বর দেখতে পাননি। অনলাইনে তাঁদের নম্বরের জায়গায় শুধু লেখা: ‘কনট্যাক্ট ইয়োর ইনস্টিটিউশন’। শুধু মহানগরী নয়, এই ধরনের সমস্যায় পড়েছেন বাঁকুড়ার একটি স্কুলের কিছু ছাত্রীও।

Advertisement

এখন বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল দেখা যায়। ওই সব পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, প্রতিটি ওয়েবসাইটেই তাঁদের ফলের জায়গাটা ফাঁকা বা সেখানে রয়েছে শুধু স্কুলে যোগাযোগের পরামর্শ। এটা কেন?

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস বলেন, ‘‘অনলাইনে যাদের নামের পাশে নম্বর না-দিয়ে শুধু ‘কনট্যাক্ট ইয়োর ইনস্টিটিউশন’ লেখা হয়েছে, তারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি। অনুত্তীর্ণ হওয়ার খবর অনলাইনে দেখে কারও কারও মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই আমরা স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি। স্কুলে তারা যে-মার্কশিট পায়, তাতে তাদের নম্বরের সবিস্তার উল্লেখ থাকে।’’ এ বার করোনার জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা এবং মার্কশিট বিতরণের মধ্যে সময়গত ব্যবধান থাকায় এই ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে বলে মনে করছেন মহুয়াদেবী।

নম্বর দেখার ক্ষেত্রে এ বার বিস্তর হাঙ্গামা পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন। তাঁর মতে, শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল বেলা সাড়ে ৩টেয় প্রকাশ করার সিদ্ধান্তটিই ভুল। কারণ, অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় নেট সংযোগ ভাল নয়। সেখানকার পড়ুয়ারা নিকটবর্তী কোনও শহরে গিয়ে ফল দেখার জন্য সাইবার ক্যাফের দ্বারস্থ হন। প্রথমে সার্ভারের গন্ডগোলে ফল দেখতে পাননি। পরে যখন ফলাফল দেখা গেল, তখনও দেখা যায়, অনেক গোলমাল রয়েছে। বিভ্রান্তি-অনিশ্চয়তা নিয়েই তাঁদের অনেক রাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। রবিবারেও কোনও সুরাহা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement