প্রতীকী ছবি
বর্তমান পরিস্থিতিতে সিমেস্টার পরীক্ষা হওয়া সম্ভব কিনা— এ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী ছাত্র-ছাত্রী ঐক্য মঞ্চের তরফে অনলাইন সার্ভে হয়েছিল। রবিবার সেই সার্ভের ফলাফল পাঠানো হল বিশ্বভারতীর গ্রিভান্স সেল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের গ্রিভান্স সেল, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে।
স্নাতক স্তরের ২৫৫ জন ও স্নাতকোত্তরের ২৫৫ জন পড়ুয়ার মতামত একত্রিত এবং বিশ্লেষণ করে এই সার্ভের ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। ফলাফলে খুব স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে, স্নাতক স্তরের ৬৭% এবং স্নাতকোত্তর স্তরের ৬৫% পড়ুয়া এই মুহূর্তে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নয়। একান্তই যদি পরীক্ষা হয় সে ক্ষেত্রে ৬৭% স্নাতক স্তরের এবং ৬৩% স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়ারা চাইছেন সিলেবাস কমানো হোক। একই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রেই প্রায় ৮০% পড়ুয়া চাইছেন সিমেস্টার-ফি মকুব করা হোক। উভয় ক্ষেত্রেই প্রায় ৭৩% পড়ুয়াদের পক্ষে ১ জুলাই-এর মধ্যে নিরাপদ ভাবে শান্তিনিকেতন ফিরে আসাও সম্ভব নয়।
একটা বড় সংখ্যার পড়ুয়ারা হস্টেলে এক জায়গায় থাকার ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয় পাচ্ছেন। অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। এ দিনের সার্ভের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সম্ভাবনা হিসেবে পড়ুয়ারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিকল্প পদ্ধতির উপরেই। অর্থাৎ, এক জায়গায় সবাই মিলে পরীক্ষা না দিয়ে অনলাইনে এবং অফলাইনে প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা নেওয়া হোক, এবং সেই রিপোর্ট আর গত সিমেস্টারের ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হোক।
কলাভবনের এক ছাত্রী বলেন, “১ জুলাই-এর মধ্যে বেশির ভাগ পড়ুয়ার পক্ষেই শান্তিনিকেতন ফিরে আসা সম্ভব নয়। আমরা চাই চিরাচরিত পরীক্ষা কিংবা বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন যেটাই হোক না কেন, সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে পর্যন্ত তা স্থগিত রাখা হোক।” পড়ুয়াদের কথা ভেবে সার্ভেতে যোগ দেওয়া পড়ুয়াদের নাম উহ্য রাখা হয়েছে।