ছবি: সংগৃহীত।
বেতন বাড়ানো হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বর্ধিত বেতন না-পাওয়ায় মঙ্গলবার কলকাতা, যাদবপুর-সহ রাজ্যের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কর্মবিরতি পালন করলেন। ওয়েবকুটা এবং রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ দিন কর্মবিরতি ডাক দিয়েছিল। আজ, বুধবারেও কর্মবিরতি পালনের ডাক দিয়েছে কয়েকটি সংগঠন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘এ দিন যাদবপুর ক্যাম্পাসে কর্মবিরতি ছিল সর্বাত্মক।’’ তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশ অনুসারে সপ্তম সংশোধিত বেতনহার ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বের সংস্থান ও ‘স্ট্যাটিউট’ বিধি সংশোধনের পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে ১৯-২০ নভেম্বর শিক্ষকদের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। এ দিনের বিক্ষোভে ৪৫০-র বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। যাদবপুরে পরীক্ষা হলেও ক্লাস হয়নি। বুধবারেও যাদবপুরের অধিকাংশ শিক্ষক কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানান পার্থবাবু।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (কুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসু জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্যাম্পাসেই এ দিন কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ‘‘নির্দিষ্ট তারিখ থেকে বর্ধিত বেতন মেটানোর দাবি তো আছেই। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্ট্যাটিউট বা বিধি তৈরি করে সর্বস্তরে শিক্ষক-প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সিন্ডিকেট চালানোর দাবি জানাচ্ছি আমরা। এটা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মর্যাদার প্রশ্ন,’’ বলেন পার্থিববাবু।
শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা-র সাধারণ সম্পাদক কেশব ভট্টাচার্য জানান, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের অধিকাংশ ইউনিটই কর্মবিরতি পালন করেছে।