Anganwadi

অঙ্গনওয়াড়ি পরীক্ষায় এমএ-ও

মোট ২১,২৭৯ জন মহিলা পরীক্ষার্থী জেলা জুড়ে পরীক্ষায় বসেন। মাধ্যমিকের চেয়ে বেশি যোগ্যতার কতজন পরীক্ষার্থী এ দিন ছিলেন, সেই সংখ্যা জানানো সম্ভব হয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের তরফে।

Advertisement

বিল্টু সূত্রধর 

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:১০
Share:

জলপাইগুড়ি জেলার মোট ৪৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রতীকী ছবি।

জলপাইগুড়ি জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি পদের পরীক্ষার জন্য আবেদন নেওয়া হয় ২০১৯ সালে। তিন বছর পরে, রবিবার সেই পরীক্ষা হল জেলার ৪৭টি কেন্দ্রে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, মাধ্যমিক যোগ্যতার এই পদের জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বহু প্রার্থীও এ দিন পরীক্ষায় বসেছিলেন।

Advertisement

মোট ২১,২৭৯ জন মহিলা পরীক্ষার্থী জেলা জুড়ে পরীক্ষায় বসেন। মাধ্যমিকের চেয়ে বেশি যোগ্যতার কতজন পরীক্ষার্থী এ দিন ছিলেন, সেই সংখ্যা জানানো সম্ভব হয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের তরফে। বিভিন্ন কেন্দ্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি বিএড ও ডিএড প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রার্থীদেরও দেখা গিেয়ছে। অনেকেই জানান, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষক বা অন্য সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় সফল না হতে পেরে বাধ্য হয়েই এই পরীক্ষায় বসেছেন। এমনই এমএ পাশ পরীক্ষার্থী ইন্দ্রাণী ঘোষ বললেন, ‘‘আমি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করছি। সরকারি চাকরি আবেদন করেও চাকরি পাইনি। অঙ্গনওয়াড়ি পরীক্ষার সুযোগ পেয়ে বসলাম।’’

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গে তুলে অনেকেই এই অঙ্গনওয়াড়ির পরীক্ষা পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ২০১৪ সালের বিএড পাশ করা বৈশাখী মোস্তাফি বলেন, ‘‘শিক্ষিকা হয়ে স্বনির্ভর হওয়ার ইচ্ছে ছিল। বয়স তো চলে যাচ্ছে। তাই পরীক্ষায় বসলাম।’’ বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরি নেই। উচ্চশিক্ষিত মহিলারা অঙ্গনওয়াড়ি পরীক্ষায় বসায় এটাই প্রমাণিত হয়। এই চাকরিতেও দুর্নীতি হবে। এক রকম বাধ্য হয়ে পরীক্ষায় বসছেন সকলে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement