মণীশ শুক্ল। ফাইল চিত্র।
টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে তদন্ত রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করেছেন। আগামী শুক্রবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর।
মণীশ খুনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার টিটাগড়ে শান্তিমিছিল করে তৃণমূল। দূরত্ব-বিধি শিকেয় তুলে হাজার হাজার মানুষ ওই মিছিলে যোগ দেন। চিকিৎসক মহল এবং সরকার যখন কোভিড নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছে, তখন শাসক দলের এমন কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। রবিবার এলাকায় বহু মানুষ নিয়ে মিছিল করেছিল বিজেপিও।
বর্তমানে মণীশ খুনের তদন্ত করছে সিআইডি। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্ত রিপোর্ট তলব করেন। মণীশ খুনে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও তিনটি মোটরবাইক উদ্ধার হয়েছে বলে সিআইডি-র দাবি।
আরও পড়ুন: আয়ুষ মিশনের টাকা খরচে ব্যর্থ রাজ্য
আরও পড়ুন: ভর্তি-নথি যাচাই ছাড়াই কেন চালু বৃত্তির পোর্টাল?
রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট নন বলে আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা হাইকোর্টৈর কাছে আবেদন করেছিলেন। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, “সিআইডি তদন্ত করার থেকে মামলার প্রমাণ ও নথি চেপে দেওয়ার কাজ বেশি মন দিয়ে করছে। এতে নিহতের পরিবার বিচার পাবে না। সেই জন্যই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।”
আরও পড়ুন: এ বার দুর্গোৎসবের উদ্যোক্তাও বিজেপি
বিজেপির মতো এ দিন তৃণমূলও ব্যারাকপুর থেকে টিটাগড় পর্যন্ত মিছিল করে। জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি মিছিলে হাঁটেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ব্যারাকপুর-টিটাগড় পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এ দিনের মিছিলে যোগ দেন। দূরত্ববিধি নিয়ে নেতারা কোনও মন্তব্য করতেই রাজি হননি। তাঁরা দাবি করেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মিছিলে যোগ দিয়েছেন সকলে।
নাম না করে ফিরহাদ এ দিন অর্জুনকে কটাক্ষ করে বলেন, “এক সময় উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করেছেন। তখন এলাকা তো এমন অশান্ত ছিল না। সামান্য ভোটে জিতে গব্বর সিংহের মতো আচরণ করছেন উনি। গব্বরের মতো ওঁরও বিনাশ হবে।” অর্জুনের মন্তব্য, “মণীশকে খুন করে তৃণমূল বিজয় মিছিল করল।”