কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগের সঙ্গে পুর্নগণনার দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করলেন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সঙ্গে তিনি আরও দাবি তুলেছেন, ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গণনা করতে হবে। কারণ মানিকতলা কেন্দ্রের গণনায় ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। ২ মে ভোটে গণনার পরে পরেই নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন মানিকতলার পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। ওই চিঠিতে তিনি মানিকতলার ভোটের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছিল। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে হাইকোর্টে।
বিজেপি-র তরফে একাধিক আসনে পুনর্গণনার দাবি তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পাণ্ডবেশ্বরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও মহিষাদলের পরাজিত প্রার্থী বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী পিটিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ফল ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে পুনর্গণনার আর্জি জানাতে হয়। জিতেন্দ্র ও বিশ্বনাথের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে।
শনিবার আবার জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সিংহও পুনর্গণনার দাবিতে মামলা করেছেন। কিন্তু ফল ঘোষণার দু’মাস পর এই মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু তৃণমূল নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। নন্দীগ্রাম আসনের নির্বাচনী ফল নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর বনগাঁ দক্ষিণ, বলরামপুর, ময়না, গোঘাট— এই চারটি আসনে পুনর্গণনার আবেদন জানিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে মামলা করা হয়। বর্তমানে ওই মামলাগুলির শুনানি চলছে কলকাতা হাই কোর্টে।