ফাইল ছবি।
টেট মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ, নিজের এবং পরিবারের সম্পত্তির হিসাব পেশ করার নির্দেশ এবং একক বেঞ্চের মন্তব্যের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্য।
এ দিন এজলাসে মানিকের আইনজীবী সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেলকে অপসারণের নির্দেশ সিঙ্গল বেঞ্চ দিতে পারে না। কারণ, এটা সিঙ্গল বেঞ্চের এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যদি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তা হলেও আদালতে পারে না?
তার পর মানিক তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে সওয়াল করে বলেন, ‘‘এই মামলায় আমার নিয়োগ নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। নিয়োগকারীকে নিয়েও প্রশ্ন ওঠেনি। তাই যে পদ্ধতিতে আমাকে অপসারিত করা হয়েছে সেই পদ্ধতি সঠিক নয়।’’ তাঁর আরও সওয়াল, ‘‘আদালত সমান্তরাল তদন্ত চালাতে পারে না। এক দিকে সিবিআই তদন্ত করবে, আবার পাশাপাশি, আদালতও তদন্ত করবে, এটা হয় না।’’
মানিক বলেন, ‘‘যে চাকরিপ্রার্থীরা মামলা করছেন তাঁরা তো কেউ আমার পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য মামলা করেননি। তা হলে আমাকে কেন অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হবে? আমাকে আমার সম্পত্তির হিসাব দিতে বলা হয়েছে, আমার সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আমার দেওয়া তথ্যই হয়তো নিম্ন আদালতে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। সিবিআই নিজের কাজ করুক, আমার কোনও আপত্তি নেই। সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমার পরিবারের সবার সম্পত্তির হিসাব চাওয়া হচ্ছে। এটা কি আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে?’’ বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি এক জন জনপ্রতিনিধি। আমাকে নীতিহীন ব্যক্তি বলে অভিহিত করা হচ্ছে! হলফনামা জমা দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই আমার বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে।’’