মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। —ফাইল ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন তাঁরা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের গ্রেফতারির পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট দিয়েছিল, সেখানে তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের নাম ছিল। তার পর বুধবার ইডির বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন শতরূপা ও শৌভিক। আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান দু’জনেই। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক।
মানিকের স্ত্রী, পুত্রের তরফে আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, সমনের ভিত্তিতে তাঁর মক্কেলরা নিজে থেকেই হাজিরা দিয়েছেন। গ্রেফতার করে তাঁদের আনতে হয়নি। ইডির তদন্তেও তাঁরা সহযোগিতা করছেন। জামিনের জন্য যে কোনও শর্ত তাঁরা মানতে রাজি বলেও আদালতে জানান আইনজীবী।
কিন্তু শতরূপা ও শৌভিকের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আদালতে জানায়, মানিকের কাজ সংক্রান্ত তথ্য জানতেন তাঁর স্ত্রী। দুর্নীতিতে তাঁরও ভূমিকা থাকতে পারে। তা ছাড়া, মৃত এক ব্যক্তির সঙ্গে মানিকের স্ত্রীর যে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, তাতে দুর্নীতির টাকা থাকতে পারে বলে মনে করছে ইডি।
পাশাপাশি, মানিকপুত্র শৌভিকের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। শৌভিক বিএড কলেজের সংস্কারের নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়া ইডির দাবি, শৌভিক পড়াশোনার সূত্রে ইংল্যান্ডে দীর্ঘ দিন ছিলেন। রেসিডেন্স ভিসায় তিনি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েই এই ভ্রমণ বলে অনুমান তদন্তকারীদের। অভিযোগ, ইংল্যান্ডে সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে মানিকের পরিবার।
মানিক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। তার পর তাঁর স্ত্রী, পুত্রকেও জেলে পাঠানো হল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের নীচে রয়েছেন মানিকের কন্যা স্বাতী ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামীও। এমনকি, স্বাতীর শ্বশুরের সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।