মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহত নওয়াজ শরিফ চৌধুরীর দেহ। —নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গোলাগুলিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মালদহের কালিয়াচক থানা এলাকার মোজামপুর এলাকা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। আহত আরও এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
কালিয়াচক থানার মোজামপুরের নারায়ণপুর গ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা তুহুর বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর ভাই ভানু বিশ্বাসের দীর্ঘদিনের বিবাদ। ভানু বিশ্বাসও তৃণমূল কর্মী। সম্প্রতি সেখানে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে তুহুর বিশ্বাসের অনুগামীদের হাতে ক্ষমতা আসে। এর পরেই মঙ্গলবার দুই ভাইয়ের মধ্যে বচসা হয়। বাক-বিতণ্ডার মধ্যেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। চলে গুলির লড়াই। উভয় পক্ষের লোকেরাই গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তুহুর বিশ্বাসের নাতি নওয়াজ শরিফ চৌধুরীর (২৯)। তিনি একজন তৃণমূল কর্মী। গুলিবিদ্ধ হন তুহুরের আর এক ভাই সালাম চৌধুরী। তিনিও তুহুরের পক্ষই নিয়েছিলেন সংঘর্ষে।
ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে ছুটে যায় কালিয়াচক থানার পুলিশ। মৃতের মাথায় গুলি লেগেছে। জখম সালাম চৌধুরীর গুলি লেগেছে কোমরের ডান দিকে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে তাঁর চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ কর্মীদের অনুমান, দুই ভাইয়ের পুরনো বিবাদের জেরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পুরনো শত্রুতা ও পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পারিবারিক জমির দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই গোলমাল চলে আসছে দুই ভাইয়ের মধ্যে। মৃত নওয়াজ শরিফ চৌধুরীর বাবাও ১০ বছর আগে একই ভাবে সংঘর্ষ চলাকালীন গুলিতে খুন হয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিবাদ মেটাতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে হঠাৎ করে গোলমাল বাধে।