অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
বৃদ্ধ শ্বশুরকে খুনের অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে মল্লারপুর থানার শিবপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বুধু মুদি (৭৩)। ওই দিনই সন্ধ্যায় গোবিন্দ মুদি নামে অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ গোবিন্দকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধু মুদি স্থানীয় একটি রাইসমিলে দীর্ঘদিন মিস্ত্রির কাজ করতেন। বয়সজনিত কারণে আর কাজে যেতে পারতেন না। চাষাবাদের কাজ করতেন। বুধুর একমাত্র মেয়ে রিনা মুদির ১৭ বছর আগে ময়ূরেশ্বর থানার বুরুটিয়া গ্রামে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই জামাই গোবিন্দ মুদি শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। বুধু মুদির খুড়তুতো ভাই লখিন্দর মুদি, আত্মীয় মুদি সনাতন মুদিরা জানান, জামাই গোবিন্দ তেমন কাজ করতেন না। প্রায় রোজই মদ খেয়ে শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে গোবিন্দ তাঁর ১২ বছরের মেয়ে মল্লিকাকে মদ খেয়ে বকাঝকা করছিলেন। ওই সময় বুধু মুদি দাওয়ায় বসে রোদ পোহাচ্ছিলেন।
অভিযোগ, নাতনিকে বিনা কারণে বকতে দেখে বুধু জামাইকে বারণ করেন। গোবিন্দ শ্বশুরের কথায় রাগ করে হাতের কাছে থাকা পাথরের ভারী নোড়া ছুড়ে দেন। নোড়ার আঘাতে বুধুর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর জখম ওই বৃদ্ধকে নিয়ে প্রথমে মল্লারপুরে, ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং মাথায় পাঁচটি সেলাই করার পরে মল্লারপুর থানায় বুধুকে নিয়ে যান আত্মীয় পরিজনেরা। সেখানে মৌখিক অভিযোগ করা হয়। এর পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য বুধুর মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা গোবিন্দকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তের দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। শুক্রবার দুপুরে রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে বুধুর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।