প্রতীকী ছবি।
ঝাড়গ্রামের শিলদা ক্যাম্পে মাওবাদী হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন অন্যতম অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ কর্মকার। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। ওই মামলায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে জামিন পেয়েছেন অর্ণব দাম নামে আরেক অভিযুক্ত।
সরকারি কৌঁসুলি অরুণ মাইতি জানান, ২০১০ সালে শিলদা ‘ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলস’-র ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। নিহত হন ২৪ জন জওয়ান। একে ৪৭ রাইফেল-সহ বেশ কিছু অস্ত্রও লুট হয়। তদন্তে নেমে ২০ জনেরও বেশি মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে হইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান মামলায় অভিযুক্ত অর্ণব। জেলে তাঁর আচরণ ভাল থাকায় ও জেলে বসেই পিএইচডি করায় হাইকোর্ট অর্ণবের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।
সম্প্রতি জামিনের আর্জি জানান ইন্দ্রজিৎ কর্মকার, তারা হেমব্রম এবং সনাতন সরেনও। গত ১৪ জানুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে তিনটি প্রশ্নের উত্তরে দিতে নির্দেশ দেয়। প্রথমত, ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের যোগ ছিল কি না। দ্বিতীয়ত, বিচার চলাকালীন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। তৃতীয়ত, অর্ণবকে যেমন কোনও সাক্ষী শনাক্ত করেননি, তেমনই এই তিন অভিযুক্তকে কেউ শনাক্ত করেছেন কি না।
সরকারি কৌঁসুলি এ দিন আদালতে জানান, ইন্দ্রজিৎকে শনাক্ত না করলেও সাক্ষীরা তারা ও সনাতনকে শনাক্ত করেছেন। সাক্ষীরা নতুন তথ্যও আদালতে জানিয়েছেন। এ দিন ইন্দ্রজিৎদের আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত আদালতে জানান, নিম্ন আদালতে বিচার চলাকালীন কোনও সাক্ষী ইন্দ্রজিৎকে শনাক্ত করেননি। যেমনটা অর্ণবের ক্ষেত্রে হয়েছে।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে শুধু ইন্দ্রজিতের জামিন মঞ্জুর করে ডিভিশন বেঞ্চ। এক বছরের মধ্যে যাতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়, তা নিশ্চিত করতে এবং বিচারের কাজ তদারক করতে রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে নির্দেশও দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।